চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের মধ্য গাজার সাধারণ নাগরিকদের জন্য মানবিক বিপর্যয় এড়াতে ত্রাণবাহী আরও ৩৩টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। রবিবার (২৯ অক্টোবর) পানি, খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে এসব ট্রাক রাফা সীমান্ত দিয়ে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূ-খণ্ডে প্রবেশ করে।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ এক বিবৃতিতে বলেছে, মিসরের সাথে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে রবিবার ৩৩টি ট্রাক পানি, খাদ্য এবং চিকিৎসা সরবরাহ গাজায় প্রবেশ করেছে। গত ২১ অক্টোবরের পর এটিই সবচেয়ে বড় ত্রাণবাহী চালান।
ইসরায়েল পক্ষ থেকে গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় পর বেশিরভাগই হাসপাতালই জেনারেটরে চালিয়ে কাজ করছে। হাসপাতালগুলোর পক্ষ থেকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনো জ্বালানি সরবরাহ করা হয়নি।
এএফপি নিউজ এজেন্সি অনুসারে, ২.৩ মিলিয়নেরও বেশি লোকের জনাকীর্ণ ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সীমিত ডেলিভারি পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত, ১১৭টি ট্রাক ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে।
অবরোধের আগে, প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ট্রাক সাহায্য এবং অন্যান্য পণ্য বহন করে গাজায় প্রবেশ করত।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। আর আহত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি ৪ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অপরদিকে হামাসের হামলায় মারা গেছে ১ হাজার ৪০০'র বেশি ইসরায়েলি।
এরই মধ্যে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের অনেক টানেল ধ্বংস করার দাবি করেছে তারা। ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত হামলায় অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধের অভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। শয্যা খালি না থাকায় নতুন রোগী নিতে পারছে না হাসপাতালগুলো। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে গিয়েও ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছেন বাস্তুচ্যুত লোকজন।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]