উত্তর আমেরিকাতে কানাডা ও যুক্তেরাষ্ট্রের সীমাতে পাশাপাশি পাঁচটি হ্রদ রয়েছে। এই হ্রদসমূহ সেইন্ট লরেন্স নদীর মাধ্যমে আটলান্টিক মহাসাগরের সঙ্গে সংযোজিত ৷ সুপিরিয়র হ্রদ, মিশিগান হ্রদ, হুরন হ্রদ, এরি হ্রদ ও অন্টারিও হ্রদ এর এই সমষ্টি পৃথিবীর মধ্যে অবস্থিত বৃহৎ নির্মল জলের হ্রদের সমষ্টি।
হ্রদগুলো একসাথে ‘গ্রেট লেকস’ নামে পরিচিত। এসব হ্রদে আছে আগ্রাসী প্রজাতির একটি ঝিনুক। এই ঝিনুক নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করছেন দুই চলচ্চিত্র নির্মাতা ইভন ড্রেভার্ট ও জ্যাক মেলনিক। তাঁরা তথ্যচিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে হ্রদের তলদেশে খুঁজে পেয়েছেন ১২৮ বছর পুরোনো জাহাজ।
তাঁরা পাঁচটি হ্রদের মধ্যে একটি হ্রদ হুরনে আগ্রাসী কোয়াগা ঝিনুকের চিত্রধারণ করছিলেন। এ জন্য হ্রদের গভীরে ড্রোন পাঠিয়েছিলেন। ড্রোনটির মাধ্যমে হ্রদের তলদেশে একটি জাহাজ দেখতে পান তারা।
ড্রোন দিয়ে হ্রদের তলদেশে জাহাজের মতো কিছু একটা দেখতে পেয়ে ড্রেভার্ট ও মেলনিক কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। ভালোভাবে দেখার জন্য এরপর তাঁরা একটি রোবোটিক ক্যামেরা পাঠান হ্রদের তলদেশে। রোবোটিক ক্যামেরার মাধ্যমে দেখে নিশ্চিত হন এটি সত্যিই জাহাজ।
জানা যায় ডুবে যাওয়া জাহাজটির নাম আফ্রিকা। জাহাজটি ডুবে যায় ১৮৯৫ সালের দিকে। কয়লা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্য থেকে কানাডার অন্টারিও প্রদেশে যাচ্ছিল জাহাজটি। যাওয়ার পথে ঝোড়ো বাতাস ও খরস্রোতের কারণে হুরন হ্রদে সেটি ডুবে যায়। এরপর ১২৮ বছর জাহাজটির কোনো খোঁজ পায়নি কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে বহু বছর আগে ওই জাহাজে থাকা যেসব মানুষ নিখোঁজ হয়েছিলেন, তাঁদের স্বজনদের কেউ কেউ এখন যোগাযোগ করছেন ওই দুই চলচ্চিত্র নির্মাতার সঙ্গে।
জাহাজটি পাওয়ার পর ওই জাহাজডুবির ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের অনেকেই চলচ্চিত্রকারদের সাথে যোগাযোগ করছেন।
ড্রেভার্ট ও জ্যাক মেলনিক বলেন, জাহাজডুবির সেই ঘটনায় মৃতদের স্মরণে কিছু করা যায় কি না, এ নিয়ে তাদের পরিবারের সঙ্গে কাজ করছি আমরা।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]