চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে প্রথমবারের মতো বৈজ্ঞানিক তথ্য পাঠিয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর রোভার প্রজ্ঞা। এর মধ্য দিয়ে চাঁদের সেই অজানা অংশের তথ্য পেয়েছে বিশ্ববাসী। বৈজ্ঞানিক এই তথ্য পাওয়ার বিষয়টি ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশনের আরেকটি বড় সাফল্য বলে জানিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
২৭ আগস্ট, রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের পৃষ্ঠতল, পৃষ্ঠতলের কাছাকাছি এবং গভীরের তাপমাত্রা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে প্রজ্ঞার উষ্ণতা পরিমাপক যন্ত্র। চাঁদের পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা কেমন তা বুঝতে চাঁদের একটি থার্মোফিজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণের মাটির তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে।
ইসরো আরও জানিয়েছে, প্রজ্ঞায় তাপমাত্রা পরিমাপক ও মাটি খোঁড়ার যন্ত্র যুক্ত আছে। এই খোড়ার যন্ত্রটি চাঁদের মধ্যে ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত খুঁড়তে সক্ষম। এছাড়া এতে তাপমাত্রা পরিমাপকের আলাদা ১০টি সেন্সর রয়েছে।
চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই এবং চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। একটি গ্রাফে তাপমাত্রা পরিবর্তনের বিষয়টি উপস্থাপন করেছে ইসরো।
ভারতের এই চন্দ্রাভিযানের তিনটি লক্ষ্য ছিলো। প্রথমটি হলো চাঁদের বুকে সফলভাবে ল্যান্ডার বিক্রমকে অবতরণ করানো, দ্বিতীয়টি, ল্যান্ডার বিক্রমের ভেতর থাকা রোভার প্রজ্ঞাকে চাঁদের মাটিতে নামানো এবং তৃতীয়টি হলো, ১৪ দিন চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করা। ইতোমধ্যেই এর দু’টি উদ্দেশ্য অর্জিত হয়েছে। আর তৃতীয় লক্ষ্য অর্জনে প্রজ্ঞা বর্তমানে চাঁদে বিচরণ করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে বেড়াচ্ছে।
গত ২৩শে আগস্ট সফলভাবে চাঁদের বুকে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম। পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, এদিন চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি স্পর্শ করে এটি। এরপর ল্যান্ডার বিক্রম থেকে চাঁদের বুকে নেমে যায় রোভার প্রজ্ঞা। শুরু করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অজানা তথ্য সংগ্রহের কাজ।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]