প্রেমের টানে ঝুঁকি নিয়ে ভারতে চলে গেছেন ২১ বছর বয়সী শাপলা আক্তার নামে এক বাংলাদেশি তরুণী। অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রায় আড়াই মাস আগে ভারতের শিলিগুড়িতে যান ওই তরুণী। কিন্তু সেখানে প্রেমিকের আসল উদ্দেশ্য জানার পর বিপাকে পড়েন তিনি।

১৪ জুলাই, শুক্রবার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে ওই তরুণী বাংলাদেশের কোথায় থাকতেন বা তার বাবা-মার পরিচয় প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়নি।

খবরে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় বাংলাদেশি তরুণীর। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব, এরপর প্রেম। পরে তরুণীতে ভারতে চলে যেতে বলেন প্রেমিক। যদিও ওই যুবকের বিষয়ে তেমন কিছুই জানতেন না ওই বাংলাদেশি তরুণী। প্রেমের টানে আড়াই মাস আগে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে চলে যান শাপলা।

ভারতে যাওয়ার পর গত প্রায় আড়াই মাস ধরে প্রেমিকের সঙ্গে ভালোই কাটছিল শাপলার। কিন্তু হঠাৎ শাপলা জানতে পারেন তার প্রেমিক তাকে নেপালে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে।

শাপলা বলেন, আমি যখন বুঝতে পারলাম সে আমাকে নেপালে পাচার করে দেওয়ার চেষ্টা করছে তখন আমি পালিয়ে যাই।

খবরে আরো বলা হয়, পালিয়ে যাওয়ার পর বুধবার রাতে শিলিগুড়ি জংশন এলাকায় ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন শাপলা। তখন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা শাপলাকে দেখতে পায়। শাপলার কাছে সব কথা শুনে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা তাকে শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

শাপলা এখন পুলিশ হেফাজতে আছেন। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তাকে হাজির করা হয়। আদালত শাপলা ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

শিলিগুড়ি থানার পুলিশ কর্মকর্তা শুভেন্দ্র কুমার বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই সবকিছু বলা যাচ্ছে না। তবে শাপলার কাছে ভারতের কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিবার্তা/লিমন