ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় বাড়ি-ঘর ধ্বংসস্তূপে পরিনত হওয়ার পর ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ফিরতে শুরু করেছে বাসিন্দারা। বাড়ির ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে ইতোমধ্যেই একটি বুলডোজার এসেছে পৌঁছেছে।
শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা ফাতিনা আল-ঘৌল নিজের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের সামনে দাঁড়িয়ে দৃশ্য দেখে কাঁদছিলেন আর কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা পালাতে বাধ্য হয়েছিলাম। তা নাহলে আমার মেয়েদের ও আমাকে হত্যা করা হত। ’
ফাতিনা বলেন, ‘আমার বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। সবকিছু ভেঙে গেছে এবং পুড়ে গেছে। সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ’
ফাতিনা তাদের এমন অবস্থার জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের বাড়ি। আমরা ভয়ের মধ্যে বসবাস করছি। এটি রক্ষা করার জন্য আমরাই একমাত্র বাকি। ’
তিনি বলেন, ‘আজ রাতে আমরা রাস্তায় ঘুমাবো। এমনকি আমরা ঘরের ভেতরেও বসতে পারব না। আমাদের বা আমাদের প্রতিবেশীদের জন্য আর কোথাও যাওয়ার নেই। ’
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযানের সময় ফাতিনা আল-ঘৌলের সঙ্গে আরও নয়জন নারী তাদের পরিবার নিয়ে শিবির ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। ইসরায়েলি সেনাদের শিবির ছাড়ার পর তারা আবার নিজেদের বাড়ির দিকে ফিরছেন।
গত সোমবার ভারী অস্ত্রসস্ত্রসহ ১ হাজারের বেশি সেনা শহরটিতে আসে। এরপর শুরু হয় তাদের ধ্বংসযজ্ঞ। যা বুধবার (৫ জুলাই) মধ্যরাত পর্যন্ত চলে।
ইসরায়েলিদের এবারের হামলায় অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে ফিলিস্তিনিদের হামলায় প্রাণ গেছে এক ইসরায়েলি সেনার।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এটিকে সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা বলেছে, এই অঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্রের দোকান এবং উৎপাদন কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে।
তবে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযানকে ‘জেনিনের জনগণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যুদ্ধ’ বলে নিন্দা করেছে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]