গত কয়েক দিনের ব্যবধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় চরম আতঙ্কে মার্কিনিরা।
সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংকের ধসের পরও মার্কিন ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিরাপদ- এই আশ্বাস দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১৩ মার্চ, সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি জানান, ব্যাংকে গচ্ছিত গ্রাহকদের অর্থ পুরোপুরি নিরাপদ।
কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের পরও বিশ্বব্যাপী ব্যাংকগুলোর শেয়ারে দরপতন হয়েছে।
১৪ মার্চ, মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের মনে ভয় ঢুকেছে অন্যান্য ব্যাংকগুলোও হয়ত বর্তমান সংকটে ধাক্কা খাবে। আর এ শঙ্কায় ব্যাংকের শেয়ারে দরপতন হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার দিনের শুরুতে স্পেনের সানতানদার এবং জার্মানির কমার্জব্যাংকের শেয়ার একটা সময় ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
ইউরোপের ব্যাংকগুলোর চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট ব্যাংকগুলোর ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি ছিল। যদিও সোমবার মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে এ সংকট সহজেই মোকাবিলা সম্ভব। দেশে কোনো তারল্য সংকট নেই।
এমন পরিস্থিতিতে শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ফেডারেল রিজার্ভ সুদ হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করবে। উল্লেখ্য, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মার্কিন ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা অব্যাহতভাবে সুদ হার বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল।
গত শুক্রবার সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতন হওয়ার পর প্রায় সব গ্রাহকের অর্থ আটকে যায়। যেহেতু এ ব্যাংকটির সঙ্গে স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেন বেশি ছিল, ফলে ব্যাংকে টালমাটাল পরিস্থিতি ও অর্থ আটকে যাওয়ার পর ওই কোম্পানিগুলোর কর্মীদের বেতন আটকে যায়।
এর আগে বাইডেন বলেন, এফডিআইসি যদি ব্যাংক নিয়ে নেয়, যারা ব্যাংক পরিচালনা করে, তারা আর করবে না।
ব্যাংকে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ নন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, তারা জেনেশুনে ঝুঁকি নেন। যখন তা শোধ হয় না, তখন বিনিয়োগকারীরা অর্থ হারান। পুঁজিবাদ এভাবেই কাজ করে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]