টানা তৃতীয়বারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন শি জিনপিং।
১০ মার্চ শুক্রবার দেশটির ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে (সংসদ) তার প্রেসিডেন্ট পদের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ১৯৪৯ সালের পর দেশটির ইতিহাসে দীর্ঘ সময় শাসন করার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন শি। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা সিএনএন।
সমাজতান্ত্রিক দেশ চীনের সংসদে ২ হাজার ৯৫২ সদস্যের সবাই শি জিনপিংকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ভোট দেন। এরপর তাকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানানো হয়।
গত বছরের অক্টোবরে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শি। ওই সময়ই নিশ্চিত হয় তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন তিনি। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ দায়িত্ব পেলেন পারমাণবিক শক্তি সমৃদ্ধ দেশটির এ নেতা।
চীনের প্রেসিডেন্টের পদটি মূলত আলংকারিক। মূল ক্ষমতাবান হলেন পার্টি চেয়ারম্যান ও সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। আর এ দুটি পদেই রয়েছেন শি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, শনিবার (১১ মে) সংসদে লি কিয়াংকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হবে। শি জিনপিংয়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন লোক তিনি। চীনের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিসহ নানান বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে এসব পরিবর্তন করে ফেলেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বর্তমানে প্রায় সব সিদ্ধান্তই তিনি নেন।
শুক্রবার শি জিনপিংয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা ছাড়াও হান ঝেংকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং ঝাও লিজেকে সংসদের প্রধান নেতা বানানো হয়।
তারা সবাই গ্রেট হল অব দ্য পিপলের ভেতর দেশের সংবিধান অনুযায়ী শপথ গ্রহণ করেন।
শি জিনপিং প্রথমবার যখন ক্ষমতায় আসেন তখনো চীনের সংবিধানে ছিল, কেউ দুই মেয়াদ অর্থাৎ ১০ বছরের বেশি সময় প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন না। কিন্তু সংবিধান পরিবর্তন করে এ বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়। মূলত নিজের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে এ উদ্যোগ নেন শি।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]