শিরোনাম
শান্তিতে নোবেল জয়ী কে এই আবি আহমেদ?
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:২৮
শান্তিতে নোবেল জয়ী কে এই আবি আহমেদ?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

অষ্টম মুসলিম ব্যক্তি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরুস্কার পেয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। আবি আহমেদের নাম আগে মানুষ না জানলেও এখন সারা বিশ্বে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের মাঝে কৌতূহল দেখা দিয়েছে আবি আহমেদকে নিয়ে।মানুষের মনে প্রশ্ন কে এই আবি আহমেদ? কী কারণে তাকে নোবেল পুরুস্কার দেয়া হলো?


ইথিওপিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বেশাসায় এক মুসলমান বাবা ও খ্রিষ্টান মায়ের ঘরে জন্ম আবি আহমেদের। বিদ্যুৎ ও পানির স্বল্পতা ছিল তাদের বাড়িতে। এমনকি তাকে ফ্লোরে ঘুমিয়ে বড় হতে হয়েছে।


গত মাসে একটি রেডিওতে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, নদী থেকে আমাদের পানি বয়ে নিয়ে আসতে হতো। সপ্তম গ্রেডে পড়ার আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ কিংবা অ্যাসফল্ট আস্তীর্ণ রাস্তা দেখেননি তিনি।


ক্ষমতাসীন জোট ইথিওপিয়ান পিপল’স রেভালুশনারি ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইপিআরডিএফ) গঠনের মধ্যে দিয়ে আবি আহমেদের রাজনৈতিক উত্থান ঘটে। প্রযুক্তির প্রতি তার আলাদা মুগ্ধতা রয়েছে। কিশোর বয়েসে তিনি সামরিক বাহিনীর একজন রেডিও অপারেটর হিসেবে যোগ দেন।


সরকারে ঢোকার আগে তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবি পেয়েছিলেন। ইথিওপিয়ার সাইবার গোয়েন্দা সংস্থা ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি এজেন্সির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ছিলেন তিনি।


জানা গেছে, গত বছরের ২ এপ্রিল ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আবি আহমেদ। শপথ নেয়ার পর আফ্রিকা মহাদেশের সর্বকনিষ্ঠ এই সরকারপ্রধান খুব দ্রুততার সাথে এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন; যেগুলো দেশে-বিদেশে ইথিওপীয়দের মনে আশা সঞ্চার করে।


ক্ষমতা গ্রহণ করার পরই তিনি হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেন। সেন্সরশিপের নামে বন্ধ থাকা শত শত ওয়েবসাইট চালু করেন। পাশাপাশি ইরিত্রিয়ার সাথে ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধের ইতি টেনে রাষ্ট্রের জরুরি অবস্থা তুলে দেন।


আবি আহমেদ ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশটির রাজধানী আদ্দিস আবাবার চিত্রটাই যেন পাল্টে গেছে। আগের সরকারের চাপে পিষ্ট থাকা মানুষগুলো এখন যেন একটু বুক উঁচিয়ে হাঁটতে পারছে; মন খুলে হাসার একটা উপলক্ষ্য এখন তাদের সামনে রয়েছে; কয়েক দশক ধরে যেটি তাদের জীবনে ছিলো অসম্ভব।


ইথিওপিয়ায় ৯০টিরও বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রয়েছে। সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো একটি অন্যটির সাথে সংঘাতে লিপ্ত। দশকের পর দশক দেশটির রাজনীতি যে ঘূর্ণাবর্তে ছিলো; তাতে এই বিভেদ আরো বেড়েছে। সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাম হচ্ছে ‘ওরোমো’। দেশের মোট জনসংখ্যার ৩ ভাগের ১ ভাগ মানুষই এই সম্প্রদায়ের। প্রধানমন্ত্রী আবিও এই সম্প্রদায়ের। ইথিওপিয়ার অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিলো ওরোমো থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী না হলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ নিশ্চিত। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এখন শান্তির বার্তা ইথিওপিয়ার সর্বত্র।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com