ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সাথে সিরিয়া ইস্যু নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ খবর জানিয়েছে তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ডেইলি সাবাহ।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তারা।
সিরিয়া সমস্যা সমাধানে ত্রিদেশীয় শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এই মুহূর্তে তুরস্কে রয়েছেন।
২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে সিরিয়া সমস্যা সমাধানে ইরান, রাশিয়া ও তুরস্ক বৈঠক করে আসছে।
সোমবার অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় শীর্ষ বৈঠকে সিরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং কাজাখস্তানের আস্তানায় অর্জিত সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।
সিরিয়া সংকট: ২০১১ সালে গণতন্ত্রের দাবিতে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। যা আরব বসন্ত নামে পরিচিত। এরই সূত্র ধরে ২০১১ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে দেশটির বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা।
রাজধানী দামেস্ক সহ বড় শহরগুলোয় বিরোধী দল ও সাধারণ জনতার বড় অংশ রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে প্রেসিডেন্ট আসাদ সেনাবাহিনী নামিয়ে দেয়।
সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে নিহত হতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। দিনে দিনে নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। হত্যা, নির্যাতনের অভিযোগে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সিরিয়ার ওপর। ৩ মাসে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেলেও রাস্তা ছাড়েনি বিক্ষোভকারীরা।
এসময় সেনাবাহিনীর অনেকে বাহিনী ছেড়ে আসাদবিরোধী বিরোধীদল ও সুন্নি সমর্থকদের সাথে এক হয়ে ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি’ নামে নতুন সামরিক বাহিনী গঠন করে। আল নুসরা, আল কায়েদার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীও যোগ দেয় এ বিরোধী বাহিনীতে। বাড়তে থাকে যুদ্ধের ব্যাপ্তিও।
আসাদের বাহিনী ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে চলতে থাকে তুমুল লড়াই। আসাদকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে রাশিয়া ও ইরান। লেবাননের গেরিলা গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও আসাদের পক্ষে লড়তে এগিয়ে আসে।
আর বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা দিতে থাকে আমেরিকা, ইসরাইল, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, সৌদি আরব।
এদিকে যুদ্ধে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে যোগ দেয় আইএস। ইরাকের বিশাল এলাকা দখল করার পর আইএস সিরিয়া দখল করতে অগ্রসর হয়। আইএসের প্রবেশ পরিস্থিতি জটিল করে তোলে। আইএস চায় আসাদকে সরাতে, এদিকে আমেরিকাও চায় আসাদকে সরাতে। কিন্তু আবার চায় আইএসকে নির্মূল করতে।
যুদ্ধে আইএসের জড়িত হওয়ার ফলেই আমেরিকা আইএস দমনের কথা বলে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
বিবার্তা/আবদাল/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]