পেট ব্যথা কমাতে ঘরোয়া পাঁচ উপায়
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৮
পেট ব্যথা কমাতে ঘরোয়া পাঁচ উপায়
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ডিসবায়োসিস সহ নানা কারণে হতে পারে পেটে ব্যথা। প্রায় লোকেরই জানা পেটের ব্যথার কোনো প্রতিকার নেই, যার ফলে আমাদের আবার তাতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে ঘরোয়া প্রতিকারে কিছুটা ব্যথা উপশম করতে এবং দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করতে পারে। পেট ব্যথার ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ৫টি খাবার খেতে পারেন-


১. আদা


পেট ব্যাথার সাধারণ লক্ষণ হলো বমি বমি ভাব এবং বমি। এই দুটি সারিয়ে তুললে আমাদের শরীর ভালো হতে শুরু করে। বমি বমি ভাব এবং বমির জন্য আদা একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হতে পারে। আদা যেকোনো প্রকারেই ভালো, আপনি এটিকে কাঁচা বা রান্না করে খেতে পারেন এবং কার্যকরী ফলাফলের জন্যতরল হিসেবেও খেতে পারেন। মোশন সিকনেস মোকাবিলায় আদা ব্যবহার করতে পারেন। আদার চমৎকার হজমশক্তি এবং প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।


২. ক্যামোমাইল টি


ক্যামোমাইল ঐতিহাসিকভাবে পেট ব্যাথা সহ একাধিক রোগের প্রতিকারের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। এই ভেষজ উদ্ভিদটি গ্যাস, বদহজম, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব এবং বমির মতো বিভিন্ন অন্ত্রের সমস্যার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। ক্যামোমাইল ভেষজ সাপ্লিমেন্টরিতে ব্যবহৃত হয় যা শিশুদের কোলিক উপশম করে। যদিও ক্যামোমাইলের অন্ত্রের প্রশান্তিদায়ক প্রভাব ব্যাপকভাবে স্বীকৃত, তবুও এটি কীভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।


৩. পুদিনা পাতা


ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী অন্ত্রের ব্যাধি যার ফলে পেটে ব্যথা, পেটফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া হতে পারে। পুদিনা পাতা এই অস্বস্তিকর উপসর্গগুলো কমাতে সাহায্য করে। পুদিনার মেন্থল অন্ত্রের পেশীর খিঁচুনি কমাতে সাহায্য করে এবং বমি ও ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে পারে।


৪. কাঁচা কলা


কাঁচা কলা ডায়রিয়া পর্বের পরিমাণ, তীব্রতা এবং সময়কাল কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা কলায় একটি বিশেষ ধরনের ফাইবার রয়েছে যা প্রতিরোধী স্টার্চ নামে পরিচিত। যার শক্তিশালী অ্যান্টিডায়রিয়াল প্রভাব রয়েছে। প্রতিরোধী স্টার্চ ধীরে ধীরে অন্ত্রে গাঁজন হয়ে শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে যা অন্ত্রকে বেশি পানি শোষণ করতে উদ্দীপিত করে। কলায় ভিটামিন বি৬, পটাসিয়াম এবং ফোলেটও থাকে। এই পুষ্টিগুলো ক্র্যাম্প, ব্যথা এবং পেশীর খিঁচুনি কমাতে সাহায্য করে।


৫. দই


ডিসবায়োসিসের কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে। ডিসবায়োসিস হলো পেটে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতা। প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করতে এবং গ্যাস, পেটফাঁপা বা অনিয়মিত মলত্যাগের মতো উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে। প্লেইন ইয়োগার্টে জীবন্ত এবং সক্রিয় ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়ায় সাহায্য করতে পারে। সাধারণ দই সংবেদনশীল পেটে সহজে হজম হয়।


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com