শিরোনাম
‘দায়িত্বপ্রাপ্তরা যখন মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে মশকরা করছে’
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০১৯, ১১:১৮
‘দায়িত্বপ্রাপ্তরা যখন মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে মশকরা করছে’
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

শ্রদ্ধেয় আপা,


আপনি ভরসা, আবেগ আর অনুভূতির শেষ আশ্রয়। সবার কাছে ডেঙ্গু এখন একটি আতঙ্কের নাম। কিন্তু আমার কাছে ডেঙ্গু সাক্ষাৎ মৃত্যু। আমি মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি।


ডেঙ্গু পজেটিভ ধরা পড়ার পর হাসপাতালে একটা জেনারেল সিটের জন্য ৩-৪ ঘণ্টা অপেক্ষা ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন তাড়া করে আমাকে। আমি ডেঙ্গু জ্বরে ১৬-২৩ জুলাই হাসপাতালে ছিলাম ধীরে ধীরে প্লাটিলেট ৯ হাজারে নেমে আসে ।


আমাকে পরপর দুই ব্যাগ প্লাটিলেট দিতে হয়েছিল। আমি নিজের ও আমার পরিবারের অসহায়ত্ব দেখেছি। ডক্টর যখন জানায় প্লাটিলেট দিতে হবে তখন মধ্যরাত। যাকে কল দেয়া হচ্ছিল হয় নম্বর অফ বা ঘুমে আছে। রক্তের প্লাটিলেট পাওয়ার জন্য আমার পরিবার ও আমার ছাত্রলীগের ভাই-বোনদের যুদ্ধ আমি দেখেছি। একের পর এক মৃত্যু সংবাদে পরিবারের সদস্যরা চোখের পানি মুছে সাহস দিয়েছে; কখনো ভেঙ্গে পড়েছে। হাসপাতালে মানুষ বণর্নাহীন অসহায়।



ডেঙ্গু পরর্বতী সময়ে একজন রোগী আরো অনেক শারীরিক ও মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়। ডেঙ্গু মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে সারা দেশে। আপনার নির্দেশ না পেলে যে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয় না। আপনার নির্দেশে যখন সারা দেশের মানুষ ডেঙ্গু জ্বরের তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।


দায়িত্বপ্রাপ্তরা তখন মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে মশকরা করছে। পরিষ্কার জায়গায় মিডিয়া ফটোশেসন করছে। আপনার কাছে চাওয়া আপনি এ ভাঁড়গুলোর উপযুক্ত বিচার করবেন বলে বিশ্বাস করি।




সুমনা আক্তার লিলির ফেসবুক থেকে নেয়া।



বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com