
রাজধানীর বাজারে ফের চড়া কাঁচা মরিচের দাম। কয়েকদিন আগেও যেটি ছিল ৮০ থেকে ১২০ টাকা, এখন সেটিই মানভেদে বিক্রি হচ্ছে প্রতি তেজি ৩০০ টাকায়। একই সাথে সবজি, মুরগির দামও চড়া দেখা গেছে। টানা বৃষ্টিতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় এই অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখো গেছে,আগে যেখানে খুচরা দোকানীরা ১৫/২০ কেজি করে কাঁচা মরিচ পাইকারি কিনে এনে বিক্রি করত, এখন অতিরিক্ত দামের কারণে সেই খুচরা বিক্রেতাই মাত্র ৩/৫ কেজি মরিচ এনে বিক্রি করছে।
এদিকে আজকের বাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কচু প্রতি কেজি ৬০ টাকা লাউ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, ধন্দুল প্রতি কেজি ৭০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দাম বিষয়ে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে। এছাড়া কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সবজির সরবরাহ কমেছে এবং অনেক সবজির মৌসুম শেষ হয়েছে সবমিলিয়ে সবজির দাম বেড়েছে বাজারে। নতুন করে সবজির মৌসুম শুরু হলে সরবরাহ বাড়বে আর তখন সবজির দাম কমে আসবে।
মাছের বাজারে আজকে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে, মাছের দোকানগুলোতে তাজা রুই, কাতল, পাবদা সাজানো। দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে বাজারে রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩০০–৩৩০ টাকা কেজিতে। পাবদা ৩৫০–৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০–৭০০, টেংরা ৬০০–৭০০, শিং ৪০০–৪৫০, কৈ ২০০–২২০ এবং তেলাপিয়া–পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে ১৮০–২০০ টাকায়। দেশি শিং ও কৈ মাছের দাম অবশ্য এখনও অনেক বেশি- প্রতি কেজি যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকা।
অপর দিকে মাছের বাজার ছেড়ে মাংসের বাজারে চোখ দিতে যেন গরিবের জন্য মানা। বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫–১৭০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহেও সেটি ছিল ১৪৫–১৫০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ কেজিতে ১৫–২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৮০ টাকা।
রাজধানীর অধিকাংশ পরিবারে এঝখনও কুরবানির মাংস থাকায় গরু, খাসি ও ছাগলের মাংসের দোকানগুলোতে ক্রেতার অভাব। রামপুরা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মো. কবির হোসেন বলেন, ‘ঈদের পর এমনটা হতেই পারে, তবে এবার একটু বেশি সময় ধরে লোকজন মাংস কিনছে না। গরু ৭৫০–৭৮০, খাসি ১১০০ আর ছাগল ১০০০ টাকায় বিক্রি করছি। কিন্তু বিক্রি নেই বললেই চলে।’
বিবার্ত/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]