
দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের ঝিরি, খাল ও নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
বিভিন্ন সময় এসব বালু উত্তোলনকারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে জেল জরিমানা করে উপজেলা প্রশাসন। এতেও থামেনি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, সুযোগ পেলেই চক্রটি বালু উত্তোলন শুরু করে।
বালু উত্তোলনে অভিযান পরিচালনা করায় সম্প্রতি একটি সংঘবদ্ধ চক্র ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট’র বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে দুদকে অভিযোগও করে বলে জানান, পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার কর্মী এম. রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, চক্রটি অবাদে বালু উত্তোলন করে পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে আসছে। প্রশাসনের ঘন ঘন অভিযানে টিকতে না পেরে বালু উত্তোলনের কৌশল ও সময় পাল্টায় চক্রগুলো। তারা এখন দিনে বালু উত্তোলন করেনা।
রাতে উত্তোলন, রাতেই বিক্রি করছে; এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত দুইটার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.মঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে বগাইছড়ি ও মালুম্মা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় বালু উত্তোলন চক্রের দুই সদস্যকে হাতে নাতে আটক করা হয়।
পরে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ১৫ ধারায় আটক আব্দু শুক্কুরকে ২ মাসের ও আলতাজ মিয়াকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.মঈন উদ্দিন।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় আটক দুইজনকে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দু শুক্কুর ও আলতাজ মিয়া উভয়ে বগাইছড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
বিবার্তা/আরমান/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]