শীতের শুরুতে বাজারে ঠিক মতো সবজি ও বেশি দাম থাকলেও শীতের শেষের দিকে টাটকা সবজিতে ভরে গেছে বাজার। ফলে দামও কমেছে সব ধরণের সবজিতে। একই সঙ্গে নতুন আলু ও পেয়াজ উঠতে শুরু করায় দাম কমেছে এই দুটি পণ্যেরও।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, বড় সাইজের ফুলকপি ১৫-২০ টাকায়, বাধা কপি ২০ টাকায়, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৩৫ টাকায়, গোল বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকায়, পেঁপে ৩৫ টাকায়, শালগম ৩০ টাকায়, ঝিঙা ৬০ টাকায় ও পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ১০ টাকায়, মুলা ১৫ টাকায়, গাজর ২০ টাকায়, করলা ৬০ টাকায়, শসা ৩০-৪০ টাকায়, শিম ৩০-৫০ টাকায়, শিমের বিচি ১০০ টাকায়, মটরশুঁটি ১২০ টাকা, ধনিয়া পাতা ৬০-৭০ টাকায়, কাচা মরিচ ৬০ টাকায়, প্রতি পিস লাউ মাঝারি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি আদা ১৪০ টাকা, রসুন ১৫০ টাকা, পেয়াজ ৫০ টাকা, নতুন আলু ৩০ টাকা, লাল আলু ৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

এসময় মৌসুমি সবজির বাড়তি সরবরাহে দাম কম থাকলেও অমৌসুমী সবজির দাম কিছুটা বাড়তি দেখা গেছে। এর মধ্যে আছে ঢেঁড়স, পটল, বরবটি, এগুলোর দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

ছুটির দিন হওয়ায় সকালে বাজার করতে আসা ফরিদ আহমেদ বলেন, বাজারে সবজির দামে এখন কিছুটা স্বস্তিতে আছি, আবার আলু পেয়াজের দামও কমছে। তবে বাংলাদেশে একদিক দিয়ে কমলে আরেকটায় বেড়ে যায়। এখন সবজির দাম কম আবার চালের দাম বেড়ে গেছে। শুনতেছি, তেলের দামও নাকি বাড়তে পারে। এখন নাকি বাজারে তেলও পাওয়া যাচ্ছে না। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের দিকে সরকারের কঠোর হওয়া উচিত।

একই বাজারের সবজি বিক্রেতা জয়নাল হক বলেন, এখন দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে। শীত শেষ হয়ে যাচ্ছে। সামনে হয়তো আবারও দাম বাড়তে শুরু করতে পারে। তবে দু'একটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হয়, সেগুলোর দাম একটু বেশি। তবে যারা কিনতে আসছে এখন তারা কম টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার করে নিয়ে যেতে পারছে।

বিবার্তা/মাসুম