চট্টগ্রামে আড়ৎভর্তি পেঁয়াজ, ক্রেতার অভাবে পচনের শঙ্কা
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:২৮
চট্টগ্রামে আড়ৎভর্তি পেঁয়াজ, ক্রেতার অভাবে পচনের শঙ্কা
চটগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চট্টগ্রামের পাইকারি ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে আড়ৎগুলোতে এখন পেঁয়াজের বস্তার স্তূপ। দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। দাম কমলেও ক্রেতা নেই। অনেকটা অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। এ অবস্থায় পচনশীল পণ্যটির ব্যবসায়ীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে।


সরেজমিনে দেখা গেছে, চাকতাই-খাতুনগঞ্জের সবকটি আড়ৎই পেঁয়াজে পরিপূর্ণ। গুদামের পাশাপাশি বাইরেও বস্তায় বস্তায় পেঁয়াজের স্তূপ। তবে আশানুরূপ ক্রেতা না থাকায় বিক্রি কম।


ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পরপরই শনিবার পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। ১১০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ২৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। এতে ক্রেতারা দিশেহারা হয়ে পড়েন। এ নিয়ে হুলস্থুল পড়ে যায়। অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার ও জেলা প্রশাসন।


গত দুদিনে দাম কমতে থাকে। মানভেদে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে। চীন ও ভারত থেকে আসা পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজে ভরে গেছে বাজার।


ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ১১০ থেকে ১২০ টাকা এবং চীনা পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আর দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। পাইকারিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কমলেও খুচরায় এখনও ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা এবং চীনা পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী শামীম মিয়া বলেন, পেঁয়াজে ভরে গেছে আড়ত। তবে ক্রেতা নেই। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না। ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, চীনা পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এ দামেও ক্রেতা নেই। এ অবস্থায় দাম আরও কমতে পারে।


আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়া বা কমার ওপর আড়তদারদের কোনো হাত নেই। আমদানিকারকরা যে দাম বলেন আমরা সে দামে বিক্রি করি।


তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা পেঁয়াজ চাকতাই-খাতুনগঞ্জে আনা হয়েছে। একইসঙ্গে আনা হয়েছে দে্রাশ মুড়িকাটা পেঁয়াজও। যার কারণে পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে দাম কমলেও এখানে আশানুরূপ ক্রেতা নেই। এরকম থাকলে ২-৩ দিনের মধ্যে দাম আরও কমে আসবে। কেননা পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। ৩-৪ দিনের বেশি বস্তায় রাখা যায় না। যে কারণে ব্যবসায়ীদের বাধ্য হয়ে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে।


তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে চাকতাই-খাতুনগঞ্জে দে্রাশ মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। দুই দিনে অন্তত ১২ ট্রাক দেশীয় পেঁয়াজ এ বাজারে আনা হয়েছে। সে সঙ্গে প্রচুর ভারতীয় এবং চীনের পেঁয়াজ এসেছে। যার কারণে দাম আপনা-আপনি কমে গেছে।


এক ব্যবসায়ী বলেন, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে একশ্রেণির আমদানিকারক বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মুহূর্তেই টেলিফোনে যারা পেঁয়াজের বাজার অস্থির করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com