পেঁয়াজ রপ্তানির উপর ভারতের শুল্ক আরোপের অজুহাত দেখিয়ে কোন অসাধু ব্যবসায়ী যেন দাম কিংবা মজুদের ক্ষেত্রে কারসাজি করতে না পারে সেজন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার তদারকি করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন,পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় বাজারগুলোর পাশাপাশি দেশব্যাপী ছোট ছোট বাজারেও অভিযান চালনো হচ্ছে। কোন অসুাধু ব্যবসায়ী যেন কারসাজি করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত বাজার তদারকি চলবে।
তিনি জানান, বর্তমানে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তাই কেউ কারসাজির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে গত কয়েকদিনে দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, রাজধানীর কারওয়ানবাজার ও মৌলভীবাজারসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন আড়ত ও কাঁচাবাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে মূলত পেঁয়াজের মূল্য তালিকা টানানো হয়েছে কিনা, মূল্য তালিকার সঙ্গে বিক্রির মূল্য ঠিক আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, যেসব আড়তদার আমদানিকারকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনে থাকেন তারা ক্রয় স্লিপ সঙ্গে রাখেন কিনা তা যাছাই করা হচ্ছে। এছাড়া সরবরাহ স্বাভাবিক আছে কিনা তাও মনিটরিং করা হয়।
সম্প্রতি ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে এবং আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বহাল রাখার ঘোষণা দেয়। এরফলে দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজ সরবরাহে যেন কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সরকার গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) আরও ৯টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং এরই মধ্যে প্রায় ৪ লাখ টন দেশে এসে পৌঁছেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবমতে, দেশে বার্ষিক পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ লাখ টন। এর বিপরীতে দেশীয় উৎপাদন থেকে প্রতিবছর ১৮ থেকে ১৯ লাখ টনের চাহিদা পূরণ করে। বাকী ৬ থেকে ৭ লাখ টন পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]