সম্প্রতি সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ নামের একটি আয়োজনের ঘোষণা পর্বে অংশ নেন দীপনসহ শোবিজের আরও অনেক তারকা। সেখানে রাজ্যকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন পরীমণিও। ছোট্ট রাজ্য কাছে পেয়ে তাকে কোলে নিয়ে ছবি তোলেন দীপনও। এ সময় তার এসে দাঁড়ান মিতু। দুজনেই হাসিমুখে পোজ দেন ক্যামেরায়। সেই ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন এই চিত্রনায়িকা। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, আমাদের একটা ‘পরীর বাচ্চা’ আছে।

তবে বিষয়টিকে নির্মাতা দীপন আলাদাভাবে না নিলেও হঠাৎ দেখতে পেলেন, নেটিজেনদের অনেকে তার ও মিতুর মধ্যে ‘বিশেষ সম্পর্ক’র অস্তিত্ব খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আর সেটা নিয়েই তুলকালাম শুরু হয়েছে দীপনের পারিবারিক জীবনেও।

এ দিকে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে মিতুর পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে লম্বা স্ট্যাটাস দেন নির্মাতা।

জাহারা মিতুর উদ্দেশে দীপন লিখেছেন, এটা কী পোস্ট ভাই? এই পোস্টের ছবি ও লেখা মিলে কী দাঁড়ায়, সেটা কি তুমি বোঝো না মিতু? কমেন্ট দেখো, যা তুমি ডিলিটও করোনি। আর এদিকে অন্যদের বোঝাতে বোঝাতে আমার জীবন শেষ যে, জাহারা মিতুর সঙ্গে আমার কোনো (বিশেষ) সম্পর্ক নেই, বা দহরম-মহরম সম্পর্কও নেই, বরং খুব ফরমাল সম্পর্ক। একবার দুবার দেখা হয়েছে, তাও কোনোও অনুষ্ঠানেই। অনেকে বিশ্বাস করে, অনেকেই করে না, খিক খিক করে হেসে বলে, ভাই ছবি ও পোস্টের ভাষা তো অন্য ইঙ্গিত দেয়! আর পারিবারিক অশান্তির কথা তো না-ই বললাম, সেটা সবাই বুঝবে।

নির্মাতা তার দীর্ঘ পোস্টে এটুকু বোঝাতে চেয়েছেন, মিতুর সঙ্গে তার কোনোও সম্পর্ক নেই। দীপনের পোস্টে মন্তব্য করে একই সুরে মিতু জানান, রাজ্য আমাদের পুরো বাংলাদেশের। হয়তো অর্থটাই ভুল বুঝেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে কী প্যারায় আছেন, তা তো আমরা জানি না। তবে আমার এই পোস্টে আমার অজান্তে বৌদি কোনো কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখিত। আর স্ক্রিনশটের প্যাঁচের খেলা থেকে অনেক আগেই বের হয়ে এসেছি। এরা পারেই প্যাঁচ লাগাতে। এখন হয়তো দু-চারটা নিউজ হবে আবোল-তাবোল, এইতো।

মিতুর ওই মন্তব্যে অনেকে ধরেই নিয়েছেন মিতুর দেওয়া ছবির কারণে দীপনের সংসার জীবনে ঝামেলা দেখা দিয়েছে। এ দিকে দীপনের স্ত্রী সংযুক্তা মিশু ক্ষুব্ধ সুরে স্পষ্ট ভাষায় জানান, এই বিষয়টির সঙ্গে কোনোভাবেই সংশ্লিষ্টই নন তিনি!

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) নিজের ফেসবুকে দীর্ঘ একটি পোস্টের মাধ্যমে সংযুক্তা মিশু জানান, নির্মাতা দীপংকর দীপন কার সঙ্গে মেশে, কী খায়, কী পরে, কোন দেশে যায়, আর কী কী করে বেড়ায়, সেটা সম্পর্কে মোটেও তিনি অবগত নন। মিতু এবং দীপংকর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এমনকি মিতুকেও চেনেন না। তাই নিজেদের দোষ ঢাকতে তাকে বলির পাঠা না বানানোর অনুরোধ জানান। আমাকে দুজন সাংবাদিক জানিয়েছিলেন, আমি পাত্তাও দেইনি। প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত জীবন আছে। দীপনেরও আছে, আমারও আছে। তাই এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।

এক গণমাধ্যমে তিনি বলেন, তারা সমস্যায় পড়েছে, পড়তেই পারে। কিন্তু আমাকে দুই জনই ব্যবহার করছে। অথচ আমি কিছু জানি না। এটা সারাজীবন দীপন করে আসছে। আমি মূলত একা, একাই যুদ্ধ করছি। কিন্তু দীপন বিপদে পড়লেই আমার নামটা ব্যবহার করে, এখানেই আমার আপত্তি।

বিবার্তা/এসবি