বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভোগার পর না-ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী সুদক্ষিণা শর্মা।
৩ জুলাই, সোমবার ভারতের গুয়াহাটিতে মৃত্যু হয়েছে তার। ৮৯ বছর বয়স হয়েছিল এ গায়িকার।
গত ২৩ জুন গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে।
তিনি নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। তিনি এক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। তার স্বামী দিলীপ শর্মা এবং দুই পুত্রসন্তান আগেই মারা গেছেন। সুদক্ষিণা হচ্ছেন প্রখ্যাত শিল্পী ভূপেন হাজারিকার ছোট বোন।
এ গায়িকার শারীরিক অবস্থা কয়েক দিন ধরে উন্নতির দিকে যাচ্ছিল। সুদক্ষিণাকে একটি কেবিনেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রবিবার (২ জুলাই) রাতে হঠাৎ করেই অবস্থার অবনতি হয় তার। এরপর সোমবার সকালে মারা যান এই তারকা গায়িকা।
সুদক্ষিণা তার চোখ ও শরীর চিকিৎসার গবেষণার জন্য দান করে গিয়েছিলেন। তার মরদেহ পরিবার এবং শুভনুধ্যায়ীদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বাসভবনে নেওয়া হয়। সেখান থেকে মরদেহ জিএমসিএইচে নেওয়া হবে।
সুদক্ষিণা ছিলেন ভারতের আসামের সংগীতখ্যাত হাজারিকা পরিবারের চতুর্থ সন্তান। তার বড় ভাই ভূপেন হাজারিকার সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই গান শুরু করেছিলেন সুদক্ষিণা।
মাত্র ৯ বছর বয়সে আসামের কিংবদন্তি সাংস্কৃতিককর্মী বিষ্ণু রাভার তত্ত্বাবধানে কলকাতায় গ্রামোফোন রেকর্ডের জন্য চারটি গান রেকর্ড করেছিলেন।
১৯৪৬ সালে মহাত্মা গান্ধীর রাজ্যে শেষ সফরের সময় ‘জয় রঘুর নন্দন’ গানটি গেয়েছিলেন সুদক্ষিণা। যিনি সেই সময় এই গায়িকার প্রশংসা করে তাকে গান বন্ধ না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
সুদক্ষিণা ‘মণিরাম দেওয়ান’, ‘চিকমিক বিজুলি’, ‘পারঘাট’, ‘আবুজ বেদোনা’, ‘হেপাহ’সহ কয়েকটি অহমীয়া সিনেমায় প্লেব্যাক করেছিলেন। কলকাতার বিশিষ্ট শিল্পী দিলীপ শর্মার সঙ্গে বিয়ের পর রবীন্দ্রসংগীতে দক্ষতার জন্য পরিচিতি পান তিনি।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]