
ঢাবি প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের অশোভন আচরণের অভিযোগে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টার দিকে ক্ষমা চাইতে ১ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন তারা। একইসঙ্গে প্রো-ভিসির বাস ভবন ঘেরাও কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। তবে সময় পেরুলেও কোনো সাড়া না আসায় এবার পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ঢাবির দিকে যাচ্ছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে সাইন্সল্যাব থেকে মিছিল নিয়ে ঢাবি এলাকার দিকে অগ্রসর হন তারা। বর্তমানে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা ঢাবির গণতন্ত্র ও মুক্তিতোরণে অবস্থান করছেন
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখে স্যার এএফ রহমান হলের সামনে ঢাবি শিক্ষার্থীরা লাঠি নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা সাইন্সল্যাব, টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেন। এরপর রাজধানীর তাঁতিবাজারেও অবরোধ করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজের সমস্যা ও ভর্তির আসন সংখ্যা কমানোর বিষয়ে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) কাছে গেলে তিনি অশোভন আচরণ করে রুম থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন, সাত কলেজের বিষয়ে কিছু জানেন না।
তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, এ বিষয়ে ২১ দিন আগে তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও সেটি পড়েননি। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চিনেন না বলেই তিনি আক্রমণমূলক ব্যবহার করেছেন। তাই তার অশোভন আচরণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুর রহমান অশোভন আচরণের জন্য ঢাবি প্রো-ভিসিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৫ দফা দাবির কথা জানান।
দাবিগুলো হচ্ছে—
১. ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
২. সাত কলেজের শ্রেণীকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না।
৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।
৪. সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায়-নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে।
৫. সাত কলেজের ভর্তিফির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে, মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন একটি একাউন্টে ভর্তি ফির টাকা জমা রাখতে হবে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]