
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চলমান ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে এবার পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দুই দলের খেলোয়াড় ও দর্শকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে দুই দল প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রশাসন চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।
২১ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি জানা যায়।
তদন্ত কমিটি আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট জমা দিবেন। এছাড়া তদন্ত চলাকালীন সময়ে দুই বিভাগের খেলাই স্থগিত থাকবে।
৪ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম শরীফুল করিম ও সদস্য সচিব হিসেবে আছেন সহকারী প্রক্টর মো. সিদ্দিকুর রহমান। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এম এম শরীফুল করিম বলেন, ‘আমি চিঠি পেয়েছি। তিন কার্যদিবসের মধ্যে আমরা রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দিয়ে দিব।’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অভিযোগপত্রে বলা হয়, গতকাল সাড়ে তিনটায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাথে খেলা চলাকালীন দ্বিতীয় অর্ধের শেষ পর্যায়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষর্থীরা তাদের গ্যালারি ছেড়ে এসে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা করে এবং হামলাকারীদের অন্যতম ও প্রধান ২ জন খেলোয়াড় (৫-নং ও ১২-নং জার্সি যথাক্রমে রিফাত ও জিসান) কিল, ঘুসি ও চড় মেরে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৪ জন খেলোয়াড়কে আহত করে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অভিযোগপত্রে বলা হয়, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দর্শকরা তাদের জন্য নির্ধারিত গ্যালারিতে (উত্তর পাশে) অবস্থান না করে দক্ষিণ পাশে সাংবাদিকতা বিভাগের জন্য নির্ধারিত গ্যালারির সামনে আমাদের দর্শকদের পাশে অবস্থান করে এবং বিভিন্ন আক্রমণাত্মক ও উসকানিমূলক মন্তব্য করতে থাকে। এছাড়া মাঠে বিশৃঙ্খলার উদ্দেশ্যে ১৬ সদস্যের স্কোয়াডের বাহিরের প্লেয়ারকে নিয়ম ভঙ্গ করে মাঠে নামিয়ে দিলে ম্যাচ রেফারি তা প্রতিহতও করে।
আরো বলা হয়, ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে বল পায়ে রাখাকে কেন্দ্র করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৬ নং ও ৮ নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সর্বপ্রথম আমাদের প্লেয়ার রিফাতকে সজোরে ধাক্কা ও কিল ঘুসি দেয় যার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। এতে আমাদের প্লেয়ার প্রতিবাদ জানালে তাদের প্লেয়ার ও দর্শকরা আমাদের খেলোয়াড় ও দর্শকদের উপর আক্রমণ শুরু করে। অতঃপর আমাদের গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়ে গেলে আমাদের প্লেয়ার জিসান প্রতিহত করতে গিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় তারা আমাদের খেলোয়াড় ও দর্শকদের মারধর করে। এ সকল অভিযোগের সকল তথ্য প্রমাণ এবং ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে।
দুই বিভাগের অভিযোগের ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম বলেন, ‘দুই পক্ষই অভিযোগ দিয়েছিল। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। প্রশাসন তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে। বাকি কথা, রিপোর্ট প্রকাশের পর বলা যাবে।’
এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর লোকপ্রশাসন এবং ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার দুই দফা মারামারির ঘটনায় ১৬ নভেম্বর টুর্নামেন্ট স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে অন্যান্য বিভাগের খেলোয়াড়দের দাবির মুখে আবারো টুর্নামেন্ট চালু করে প্রশাসন।
বিবার্তা/প্রসেনজিত/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]