ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অভ্যন্তরের থানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে উপাচার্যের কাছে ম্মারকলিপি দিয়েছেন স্থানীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
১২ নভেম্বর, মঙ্গলবার ইবি থানা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে উপাচার্যের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর নিকার কমিটির ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা স্থানান্তর করে এখানে পুলিশ ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। সে সময় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কিছুই জানানো হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকার মানুষের মতামত না নিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের কিছু স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই থানাকে সরিয়ে ১৬ কিলোমিটার দূরে দুর্গম ঝাউদিয়ায় নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। অথচ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কিছুই জানানো হয়নি। অবৈধ সরকারের এক তরফা সিদ্ধান্ত বাতিল করে ও মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্নিকটে পছন্দমতো জায়গায় ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা’ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।
এর আগে দুপুর দেড়টায় কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতির কার্যালয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা করেন তারা। এসময় এস এম আসাদুজ্জামান মিল্টনের সঞ্চালনায় উপস্তিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হাসান লাবু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দীক, উপ-রেজিস্টার জাহাঙ্গীর আলম, ড. শহীদুল ইসলাম, , নুরুন্নবী বাবু, আনিচুর রহমান, আলমগীর হোসেন, এস আর শিপন, অ্যাডভোকেট রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন ও যুগ্ম-আহবায়ক আনোয়ার পারভেজসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদুজ্জামান বলেন, ঝাউদিয়ার লোকজনের জন্য আলাদা পুলিশ ক্যাম্প হতে পারে। কিন্তু সেটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা সরিয়ে নিয়ে কোনোভাবেই নয়। এই থানাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সকলের জন্যই অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমরা চাই ইবি থানা যেন এখান থেকে কোনোভাবেই স্থানান্তরিত না হয়৷ আমরা আমাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য যেকোনো ধরনের কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি৷
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দীক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে অরক্ষিত করে আমরা অন্য কারো নিরাপত্তার কথা ভাবতে পারিনা। আগামীতে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কায় না পড়ে সেজন্য আমরা এই থানা অন্য কোথাও নিতে দিব না৷ আমরা চাই, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিবেন।
এ বিষয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য থানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই থানা এখানেই রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এছাড়া এ থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করলে বিশ্ববিদ্যালয়টি আরও বেশি এগিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আমার কোনো এখতিয়ার নেই। তবুও আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করবো।
বিবার্তা/জায়িম/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]