ইবির খালেদা জিয়া হলে বারবার দুর্ঘটনা, ছাত্রীদের স্থানান্তর
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:০৭
ইবির খালেদা জিয়া হলে বারবার দুর্ঘটনা, ছাত্রীদের স্থানান্তর
ইবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলের পুরোনো ব্লকে বারংবার বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৭ জুলাই থেকে মোট পাঁচবার বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ঘটে।


সর্বশেষ ২ ও ৪ সেপ্টেম্বর বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লেগে যায়। এসময় কয়েকজন ছাত্রী আতঙ্কে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ফলে নিরাপত্তা শঙ্কায় ছাত্রীদের ওই ব্লক থেকে সরিয়ে অব্যবহৃত শিক্ষক কোয়ার্টার ‘কপোতাক্ষ’তে থাকার ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার ছাত্রীরা এই ভবনে উঠেছেন বলে জানা গেছে।


জানা যায়, খালেদা জিয়া হলের পুরোনো ব্লকে বৈদ্যুতিক লাইন দুর্বল হয়ে পড়ায় প্রায়ই ছোট-বড় বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ জুলাই মাসে বড় দুর্ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সংযোগ মেরামতের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। সেসময় হলের তিনতলা পর্যন্ত বৈদ্যুতিক সংযোগ মেরামত করার কথা থাকলেও দুই তলা পর্যন্ত করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় শুধু জোড়াতালি মেরামত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছাত্রীদের।


এদিকে সর্বশেষ গত ২ ও ৪ সেপ্টেম্বর বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ঘটনা ঘটে। এসময় আতঙ্কিত হয়ে কয়েকজন ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যায় বলে জানা গেছে।


পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাসহ হলের ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীর সাথে আলোচনায় বসেন। সেখানে ছাত্রীদের পক্ষ থেকে হলের সমস্যা নিরসনে চার দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেয় প্রশাসন। ফলে ওই ভবনে থাকা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শিক্ষক কোয়ার্টারে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।


এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষক ড. এরশাদুল হক বলেন, আমরা এখানে শতাধিক ছাত্রীর আবাসন ব্যবস্থা করেছি। তাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক আনসার ও আয়া নিয়োজিত থাকবে। তাদের খাবারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলের ডাইনিং থেকে তাদের জন্য প্রতি বেলায় খাবার এখানে নিয়ে আসা হবে। আশা করি তাদের কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। এর পরেও যদি তারা নিরাপত্তা সংকট মনে করে, তাহলে সমন্বয়ক প্যানেল এবং আমরা মিলে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ. কে. এম. শরীফ উদ্দীন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অবস্থানের স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। কোয়ার্টারে মোটামুটি সব রুমের বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।


এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, হলের বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলো। আমরা তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত সময়ে কপোতাক্ষ ভবন সংস্কার করে এখানে নিয়ে এসেছি।


বিবার্তা/জায়িম/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com