
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের ফি প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি করে কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে ২০ শতাংশ ফি কমানোর ঘোষণা দেয় প্রশাসন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রদত্ত অতিরিক্ত ফি পরের সেশনে সমন্বয় করার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পরবর্তীতে নির্দেশনা অনুযায়ী সমন্বয় করে ফি প্রদান করেন ২০১৭-১৮ ও ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। তবে স্নাতক শেষে সদন উত্তোলন করতে গেলে সমন্বয়কৃত সেই ফি আবারো প্রদান করতে বলেন একাডেমিক শাখার কর্মকর্তারা। ফলে বাধ্য হয়ে সমন্বয়কৃত ফি পুনরায় পরিশোধ করে সনদ নিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের প্রদত্ত ফি একাডেমিক শাখার লেজার বইতে না তোলায় একই ফি আবারো প্রদান করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
২ মার্চ, শনিবার সকাল ১০টায় কর্তৃপক্ষের এসব অনিয়মের প্রতিবাদে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার কাছে তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ফি সমন্বয় করা, ইতোমধ্যে যারা অতিরিক্ত ফি জমা দিয়েছে তাদের টাকা মাস্টার্সে সমন্বয় করা এবং জমাকৃত ফি একাডেমিক শাখার খাতায় লিপিবদ্ধ না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রশাসন তীব্র আন্দোলনের মুখে বর্ধিত ফি ২০ শতাংশ সমন্বয়ের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু এখন ফি সমন্বয় নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। অনতিবিলম্বে এই ফি সমন্বয় করতে হবে। নচেৎ আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন দায়িত্বরত উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ। মিছিলটি দলীয় টেন্ট থেকে শুরু হয়ে প্রশাসন ভবন চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
বিবার্তা/জায়িম/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]