‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পদাধিকারী বলে বুদ্ধিজীবী। তারা বর্তমান আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কোনো ভুলে বা অপরাধে তারা প্রতিবাদ করে না। কারণ বুদ্ধিজীবী তকমা লাগিয়ে তারা উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য হবেন।’ এমন মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।
১৪ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটায় জাতীয় বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে চবি প্রশাসনের আয়োজিত আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন তিনি।
অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘আজ ভাতা ভোগী বুদ্ধিজীবী ও প্রকৃত শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য তৈরি হয়েছে। বুদ্ধিজীবীদের চেতনাসহ পুরো বিষয়টি অর্থনৈতিক পরিধিতে আটকে আছে। সৃজনশীল বুদ্ধিজীবী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নেই, সবাই হলো ঐতিহ্যবাহী বুদ্ধিজীবী।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা ৬ বার প্রকাশ করা হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে কোনো সরকারি পরিপত্র জারি করা হয়নি। তাই এই দিবসকে জাতীয় দিবস বলা যাবেনা। তাছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় না বলে জানান তিনি।’
মুখ্য আলোচক হিসেবে তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমরা বুদ্ধিজীবী হত্যার কথা বলি তখন ধরে নিই যে শুধু মিরপুর বা রায়েরবাজারে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এই দুটি স্থান হলো প্রতীকী। মূলত ২৫শে রাত থেকে শুরু করে ১৯৭২ সালের ৩০শে জানুয়ারি পর্যন্ত বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে।’
চবি রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার।
বিবার্তা/মহসিন/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]