৩৬তম বার্ষিক সম্মেলনে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতি বিনিময়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। থাইল্যান্ডের সিয়াম ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা এসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিস অব এশিয়া এন্ড দ্যা প্যাসিফিক (এইউএপি) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
পাঁচদিনের এই সফরে সম্মেলনে যোগ দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। এ সময় বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতি বিনিময়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সম্মেলনে ‘ইনিশিয়েটিভ ফর কোয়ালিটি হ্যায়ার এডুকেশন অব বাংলাদেশ: ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান। উপাচার্য তার উপস্থাপনায় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার স্বরূপ, গতি, প্রকৃতি, সমস্যা এবং সম্ভাবনার বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রসারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। বাংলাদেশের শিক্ষার মান আন্তর্জাতিকীকরণের পাশাপাশি এশিয়া অঞ্চলের আন্তঃসম্পর্ক বৃদ্ধি ও শিক্ষার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে আরো সমুন্নত করার আহ্বান জানান উপাচার্য। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দেশ ও বিশ্বায়নের মূল ধারায় আনার জন্য প্রযুক্তি ও দক্ষতাভিত্তিক জ্ঞান চর্চা ও পাঠদানে আরো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সম্মেলনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পাশাপাশি আরো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদরা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- থাইল্যান্ডের সিয়াম ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. প্রোনচাই মংকনভানিত, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ব্যাপ্টিস্ট ইউনিভার্সিটির ড. রেবেকা মেয়ার, চীনের সিয়াস ইউনিভার্সিটির সাওন চ্যান, ভারতের জাগরণ লেকসিটি ইউনিভার্সিটির ড. হারি মোহন গুপ্ত, হ্যাঙ্গেরির জন ভোন নিউম্যান ইউনিভার্সিটির ড. নরবার্ট সিজমাডিয়া, অস্ট্রিয়া ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. এন্ড্রেস জেহেতনারসহ ৩৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
এই সম্মেলনে পোস্ট গ্রাজুয়েটস ডিপ্লোমা (পিজিডি) এবং শর্ট কোর্সের শিক্ষার্থী বিনিময় নিয়ে ফিলিপাইনের মাউন্টেইন প্রোভিন্স স্টেইট পলিটেকনিক কলেজের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এতে শিক্ষার্থী বিনিময়সহ শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা হয়।
‘ইউটিলাইজিং ইনস্টিটিউশনাল অ্যাসেটস টু এনহ্যান্স গ্লোবাল আউটরিচ’ শীর্ষক সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসহ বিশ্বের ১৯টি দেশের ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞসহ শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
এইউএপি ১৯৯৫ সালে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের ৫১ বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য করে যাত্রা শুরু করে এবং সময়ের বিবর্তনে এটির সদস্য সংখ্যা ও কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়ে সারা বিশ্বব্যাপী এর প্রসার ঘটে। এইউএপির লক্ষ্য সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে আস্তঃসম্পর্ক ও সহযোগিতার সম্পর্ক বৃদ্ধি করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উন্নয়নের জন্য একটি আধুনিক ও কার্যকরী মঞ্চ তৈরি করা।
বিবার্তা/রাসেল/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]