ফ্যান ছাড়া আছে বশেমুরবিপ্রবির দুই হলের শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৮
ফ্যান ছাড়া আছে বশেমুরবিপ্রবির দুই হলের শিক্ষার্থীরা
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চলমান তীব্র তাপদাহে যেখানে সারাদেশের মানুষ অতিষ্ঠ। জীবিকার নির্বাহের তাগিদেও বাইরে বের হতে পারছে না। এমনকি হিটস্ট্রোকের ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। সেখানে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) দুটি আবাসিক হলে নেই ফ্যান।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস হলের অধিকাংশ রুমেই ফ্যান নেই। গরম থেকে নিজেদের সুরক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা নিজস্ব উদ্যোগে ফ্যান কিনে ব্যবহার করছেন। তবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে আরও দুর্ভোগ।


এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দুই হলের একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, ‘এই তীব্র গরমে যেখানে স্ব-শরীরে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে প্রশাসন সেখানে এই গরমের মধ্যেই ফ্যান ছাড়াই হলে শিক্ষার্থীদের থাকতে হচ্ছে। এগুলো দেখার কি কেউ নেই? ন্যূনতম দায়বদ্ধতা ছাড়াই চলছে সবকিছু।’


স্বাধীনতা দিবস হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “এই তীব্র গরমে ফ্যান ছাড়া হলে থাকা আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ছে। যেখানে এই বছর দেশে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা আর সেই তাপমাত্রার মধ্যে আমাদেরকে হলে ফ্যান ছাড়া অবস্থান করতে হচ্ছে ব্যাপারটা যেমন কষ্টের তেমনি দুঃখজনক। আশা করি হল প্রশাসন অতিদ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন।’


আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘হলে আমরা অধিকাংশই নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসছি। আর্থিক সমস্যার জন্যই আমরা হলে থাকি। তাই আমাদের অনেকের পক্ষে ব্যক্তিগত ফ্যান কেনা সম্ভবপর নয়। ফলে আমাদের অনেককে এই তীব্র গরমে মধ্যেও হলে ফ্যান ছাড়াই অবস্থান করতে হচ্ছে যা খুবই কষ্টকর।’


ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হলো বিশ্ববিদ্যালয় আর সে-ই জায়গায় জ্ঞান অর্জন করতে এসে যখন শিক্ষার্থীদের হলে ফ্যান ছাড়াই অবস্থান করতে হয় এর চেয়ে দুঃখের বিষয় আর কি হতে পারে? তাছাড়া অন্য তিনটি হলেও ফ্যান আছে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন হলে ফ্যান আছে আবার কোন হলে নেই এটা শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্য নয় কি? এ ব্যাপারে হল প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’


এ বিষয়ে স্বাধীনতা দিবস হলের প্রভোস্ট মাহবুব আলম বলেন, ‘ফ্যান নেই তো না থাকার কোনো কারণও নেই। ফ্যান কখনো ছিল না। আমরা বলেছিলাম কিন্তু দেয় নাই। এটা তো আমরা প্রশাসনকে অবগত করেছিলাম কিন্তু না দিলে তো কিছু করার নেই। যদি দেয় আমরা আবার অ্যাপ্রোচ করে দেখবো। প্রশাসন দিলে দিবে হলের তো সামর্থ্য নেই এত টাকা ফান্ডিং করার। আমরা ব্যাপারটা প্রশাসনকে অবগত করবো।’


অন্য হলগুলোতে ফ্যান থাকলেও বিজয় দিবস হলে ফ্যান না থাকার কারণ জানতে চাইলে প্রভোস্ট ড. মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঠিক আছে আমি কালকে জানাবো’।


এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, ‘এ বিষয়টা হল প্রভোস্টদেরকে জানাও উনারা আমাদেরকে অবগত করলে আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’


বিবার্তা/অহনা/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com