সারা দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ পরিস্থিতিতে দেশের তাপমাত্রা নিয়ে কমবেশি সবারই আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তবে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন কিংবা অন্য সূত্রে পাওয়া তাপমাত্রার সঙ্গে আবহাওয়া অফিসের অমিল দেখা যায়।

এ নিয়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। চলে নানা ধরনের সমালোচনাও। তবে এ বিষয়ে কিছু করার নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

২৯ এপ্রিল, সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদফতরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আবহাওয়াবিদ তরিকুল নেওয়াজ কবীর।

তিনি বলেন, মোবাইল ফোন কিংবা অন্য সূত্র থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পাওয়ার বিষয়ে কিছু করার নেই। আবহাওয়া অফিস শুধুমাত্র বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অবজারভেটরি থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষ করে সঠিক পূর্বাভাস দেয়।

তিনি আরও বলেন, আজ রাজধানীতে বিকেল ৩টা নাগাদ ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তবে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হওয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ফরিদপুরে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে যশোর ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ তরিকুল নেওয়াজ।

এছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে দেশব্যাপী বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।

বিবার্তা/লিমন