ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ‘লিডারশিপ স্কিলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা-৬টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় অনুষদের প্রফেসর হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে এই সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ড. বার্নড স্পেনিয়ার ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বায়ক আকতার হোসাইন।
উক্ত সিম্পোজিয়ামে চারটা সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেশনগুলোতে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কথা বলেন যথাক্রমে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের লিড ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট জনাব সুরাইয়া জান্নাত, আইসিটি ডিভিশনের এটুআই বিভাগের প্রোগ্রাম ইনোভেশন স্পেশালিস্ট জনার মানিক মাহমুদ, স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারপার্সন জনাব মাহবুব রহমান ও ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান জনাব মাসুদ খান।
অনুষ্ঠানে মোস্তফা জব্বার বলেন, আমাদের দেশে কম্পিউটারকে জনপ্রিয় করতে যে মানুষটার হাত রয়েছে তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামি লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা। তিনি ২০২১ সালে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার শপথ নেন।ইতোমধ্যে তোমরা একটি ডিজিটাল দেশের যে লক্ষণ তা বাংলাদেশে দেখতে পাবে।
শিশুদের ডিজিটাল ডিভাইসে দক্ষ করে তোলা ও প্যারেন্টিং কন্ট্রোলের গুরুত্ব নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখনো অনেক মানুষ বলেন যে শিশুকে ফোন চালাতে দিয়েন না।আমি বলবো এদের নিজেদের মোবাইল চালানোর দক্ষতা নাই।এই ডিজিটাল ডিভাইসটা শিশুকে পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ দিচ্ছে। বাবা মা চাইলে শিশুকে নির্ধারণ করে দিতে পারে যে সে কতটুকু সময় ফোন ইউজ করবে এবং কোন কোন ওয়েব সাইটে যেতে পারবে।এই প্যারেন্টিং কন্ট্রোলের বিষয়টা আমাদের বেশিরভাগ মানুষ জানে না।আমাদের এ সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন,অনেকেই বলে সোশ্যাল মিডিয়া অনেক খারাপ এটা আপনি বন্ধ করে দেন না কেন! আমি তাদের বললাম যদি এটা করি তাহলে আমাদের যে ইয়ং জেনারেশন আছে তাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।তাদের অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভর;এর মাধ্যমে তারা অনেকে পড়াশোনা ও উপার্জন করে। আমাদের শুধু খারাপ দিক দেখার চেয়ে উপকারের দিকে বেশি নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে আছি। এই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবটা কী! এটা হচ্ছে একটা যান্ত্রিক বিপ্লব।মানে আমরা রোবটের ব্যবহার করবো, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করবো।
প্রযুক্তি নির্ভরতা নিয়ে তিনি বলেন,আমাদের মানুষের জীবনকে সহজ করার জন্য প্রযুক্তির দরকার; কারো জায়গা নেওয়ার জন্য প্রযুক্তির দরকার নাই।
ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করে স্মার্ট জনশক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন,আমাদের ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে স্কুল থেকে টাইপ রাইটিং শেখানো হয়। কিন্তু আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে টাইপ রাইটার আসে। আমাদের কাছে আগে থেকে টাইপ রাইটার থাকলে আমরাও স্কুল জীবন থেকে শিখতে পারতাম। কিন্তু এখন যেহেতু আমাদের হাতে কম্পিউটার আছে,ফোন আছে সেটাকে তোমরা ব্যবহার করো, ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করো।
এসময় তিনি শিক্ষা, কৃষি এবং জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
ড. বার্নড স্পেনিয়ার বাংলাদেশের উন্নয়নের পাথেয় সমূহ নিয়ে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন একটি শিক্ষিত তরুণ সমাজ। বাংলাদেশ ডিজিটাল স্কিলসের উপর গুরুত্ব দিলে এ দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়াকে এজন্য একসাথে কাজ করতে হবে যাতে দেশের তরুণসমাজ নিজেদের সম্পূর্ণ উপযোগিতা ব্যবহার করতে পারে।
বিবার্তা/ছাব্বির/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]