ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নানা আয়োজনের মাধ্যমে ‘শহীদ শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপিত হয়েছে।
১৮ অক্টোবর, বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শেখ রাসেলের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।
পরে একই স্থানে সকাল ১১ টায় শেখ রাসেলের শিশু-কিশোর জীবনের উপর আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভার পূর্বে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ উপস্থিত অতিথিরা।
আলোচনা সভায় শেখ রাসেল দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, শেখ রাসেলের মধ্যে সততা, শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করা, সহপাঠীদের প্রতি আন্তরিক থাকার মতো মানবিক মূল্যবোধগুলো ছিল। শুধু শেখ রাসেলের নয়, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবারই একইরকম মূল্যবোধ ছিল। এই প্রজন্মের শিশুদের কাছে মূল্যবোধগুলো ছড়িয়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, শেখ রাসেলকে যারা হত্যা করেছে, তারা এখন মানবাধিকারের কথা বলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এখন মানবাধিকারের কথা বলে অথচ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা নৌযান প্রেরণ করেছিল। ভবিষ্যতে অন্য কেউ যাতে দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ রাসেলের শ্রেণিকক্ষের শিক্ষক আফরোজা বেগম বলেন, শেখ রাসেলের ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। সে তার সহপাঠীদের প্রতি আন্তরিক ছিল। শিক্ষকদের প্রতিও তার অত্যন্ত শ্রদ্ধা ছিল।
শহীদ শেখ রাসেলের সহপাঠী নাসরিন ইসলাম বলেন, শেখ রাসেল অত্যন্ত সহজ-সরল প্রকৃতির ছিল। তার মধ্যে কোন দম্ভ ছিল না। একটি নিরহংকারী মনোভাব ছিল। বঙ্গবন্ধুর সন্তান হওয়ার পরও কখনো তিনি বিশেষ সুবিধা নেননি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক আব্দুল হালিমসহ প্রমুখ।
বিবার্তা/ছাব্বির/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]