এডিসি হারুনের বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মানববন্ধন
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:১১
এডিসি হারুনের বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মানববন্ধন
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞান সম্পাদক শরিফ আহমেদ মুনিমের উপর পাশবিক নির্যাতনকারী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুনের স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচি পালন করছে গাজীপুর ছাত্রকল্যাণ সমিতি।


১১ সেপ্টেম্বর, সোমবার সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচি পালন করছে গাজিপুর ছাত্রকল্যাণ সমিতি।


উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টায় দুই নেতাকে শাহবাগের থানার ভেতর নিয়ে তাদের বেধড়ক মারধর করে বলে জানায় ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী।


নেতাকর্মীরা জানান, শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে এক নারী কর্মকর্তার সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন৷ ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী ছাত্রলীগের এই নেতাকে নিয়ে আড্ডাস্থলে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। এডিসি হারুনের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়।


পরে এডিসি তাদের দুইজন নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান এবং বেধড়ক মারধর করেন। অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে তাদের দুজনকেই হাসপাতালে পাঠানো হয়।


এদিকে ঘটনার জের ধরে এডিসি হারুনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।


গাজিপুর ছাত্রকল্যাণ সমিতির আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মাহবুবুল আলম ইমন বলেন, এডিসি হারুন তার ব্যক্তিগত কুকর্ম ঢাকা দিতে, পরকীয়া করতে গিয়ে বাধা পেয়ে আজকে আমাদের দুই ভাইকে এভাবে থানায় নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করেছে।এমন সন্ত্রাসীর আমরা স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবি জানাই।


আরেকজন শিক্ষার্থী রকিবুল আলম, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধরে ধরে নির্যাতন করতো সেভাবেই এডিসি হারুন এখন শিক্ষার্থীদের উপর করছে। তার শাস্তিও হতে হবে পাকিস্তানিদের মতোই।


শিক্ষার্থী নাজমুল হক বলেন, এডিসি হারুন তার পরকীয়া করা অবস্থায় ধরা খাওয়ার পর তা ঢাকা দিতে আমাদের দুই ভাইকে এভাবে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি যে মানবিক বিকারগ্রস্ত এই হারুন এর আগেও অনেক শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে হামলা করেছিল।আমরা তার যথাযথ শাস্তি চাই।


ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মাহমুদুল হাসান বলেন, একজন বিনয়ী স্বচ্ছ নেতাকে এভাবে আঘাত করা হয়েছে বেআইনি ভাবে। এডিসি হারুন একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তার উচিত ছিল দায়িত্ব পালন করা কিন্তু সে একজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে যখন আমি এই ঘটনা শুনেছি। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাংবাদিকদের উপর সে হাত তুলেছে, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের কীভাবে অত্যাচার করেছে। সে কতটা নির্লজ্জ। কুকুর যদি পাগল হয়ে যায় তাহলে তাকে হয় মেরে ফেলতে হয় নাহয় ব্যবস্থা নিতে হয়। একজন ব্যভিচারকারী। যে মহিলার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত ছিল তার স্বামী যখন ছাত্রলীগের কাছে সাহায্য চায় তখন ছাত্রলীগের এই দুই নেতাকর্মী মানবিক আবেদন থেকে সাহায্য করতে কিন্তু কীভাবে তাদের উপর অত্যাচার করেছে, দাঁতের পাটি উপড়ে ফেলেছে। তার সাহস কত বড় সে আইনের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এমন কাজ করেছে। আমরা আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবেন।


এসময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক নেতৃবৃন্দ এবং বেশ কিছু শাখা ছাত্রলীগের কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/ছাব্বির/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com