অবশেষে আদায় হলো দাবি, হলে ফিরছেন শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ২৩:৩২
অবশেষে আদায় হলো দাবি, হলে ফিরছেন শিক্ষার্থীরা
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের ৩০০ শিক্ষার্থীকে অন্য হলে স্থানান্তরসহ তিন দফা মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


১৪ আগস্ট, সোমবার রাত ১০টা নাগাদ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি পুরণের আশ্বাস দেন।


উপাচার্যের অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আশ্বস্ত না হওয়ায় বাসভন গেট অবরোধ করে অবস্থান চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের মধ্যস্ততায় শিক্ষার্থীদের অন্যান্য হলে স্থানান্তরের জন্য কমিটি গঠন এবং একমাসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করার আশ্বাস দেন উপাচার্য।


শিক্ষার্থীদের সামনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, তোমরা আমার কাছে একমাসের মধ্যে কার্যক্রম চালু করার কথা বলেছ। কিন্তু এ ব্যাপারে আমি আজই কাজ শুরু করে দিয়েছি।


উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল থেকে অন্তত ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে অন্য হলে এক মাসের মধ্যে স্থানান্তরের মাধ্যমে বৈধ আসন নিশ্চিত করা, পরবর্তীতে হলের আসনসংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে নতুন শিক্ষার্থী অ্যালটমেন্ট দেয়া ও হলের সার্বিক সংকট বিবেচনায় মূল ভবনের প্রতি কক্ষে ৬ জনের বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা। এ ব্যাপারে তারা পূর্বে ১০৫ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি দেয় উপাচার্য বরাবর।


স্মারকলিপি প্রদানের পর গত রবিবার তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলনে তাদের দাবিগুলো জানায়। দাবি বাস্তবায়নের জন্য সোমবার দুপুর একটা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।


উপাচার্য তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিং এ জানায় যে উপাচার্য তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানালেন যেহেতু মেয়েদের হল তাই সেন্সিটিভ দেখে, স্মারকলিপি পাওয়ার পর পরই হল পরিদর্শন করা হয়েছে। তিনি নতুন করে শিক্ষার্থীদের কুয়েত মৈত্রী হলে অ্যালটমেন্ট দেয়া বন্ধ করার কথা জানান এবং আশ্বাস দিয়েছেন এবছর যেসব শিক্ষার্থী অ্যালটমেন্ট পেয়েছে তাদের একাংশকে অন্যান্য হলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু ২৩৪ জন মেয়ে যারা গণরুমে আছে তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান দেয়া হলেও পাওয়া যায়নি কোনো তাৎক্ষণিক সমাধান। প্রশাসনিক জটিলতার কারণে এটি সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি।


বিবার্তা/ছাব্বির/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com