সংঘর্ষের জেরে অনিবার্যকারণ দেখিয়ে দুই দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
আগামী ১২ মার্চ রবিবার ও ১৩ মার্চ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। আগামী ১৪ মার্চ মঙ্গলবার থেকে ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তারের আদেশক্রমে এ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
রাবি জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, বাসের সিটে বসা নিয়ে দ্বন্দ্বে স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় বিনোদপুর গেট পুলিশ বক্সে আগুন দেন স্থানীয়রা। পুড়িয়ে দেন দুটি মোটরসাইকেলও। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অন্তত ২৫-৩০টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করেছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে এক গণমাধ্যমকর্মীর ক্যামেরা। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট অবরোধ করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে রকিব ও খালিদ সাইফুল্লাহ নামের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাজারের প্রায় সব দোকানে অগ্নিসংযোগ করেছেন। কিছু দোকানে লুটপাটও করেন তাঁরা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সিটে বসাকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে ঝামেলা হয় একজনের। পরে বাসটি বিনোদপুর বাজারে আসলে বাস আটকে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে এক দোকানি এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় দোকানিরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। বাঁশ-লাঠি নিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন। শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে আবার বিনোদপুর গেটের দিকে লাঠিসোটা নিয়ে দোকানিদের ধাওয়া করেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থল আসেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও তার কয়েকজন অনুসারী। পরে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল রেখে চলে যান তারা। এ সময় মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন স্থানীয়রা। পরে দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেন তারা। এছাড়াও বিনোদপুর গেট পুলিশ বক্স ও কয়েকটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়। বর্তমানে মহাসড়কের দুই পাশ থেকে স্থানীয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলছে। বিনোদপুর বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
বিবার্তা/সজল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]