গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ, আন্দোলনে ভর্তিচ্ছুরা
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:২০
গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ, আন্দোলনে ভর্তিচ্ছুরা
জাককানইবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

গুচ্ছভূক্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) ভর্তি প্রক্রিয়ায় উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ। ৭ম ধাপের শূন্য আসনে ভর্তির জন্য প্রকাশিত ফলাফলে পরিলক্ষিত হয় অস্বচ্ছতা।


ভর্তিচ্ছুদের অভিযোগ, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে মেধা তালিকার পেছনে থাকা শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মনোনীত হলেও বাদ পড়েছে সামনে থাকা শিক্ষার্থীরা।


শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ১৩ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে ১৫ ও ১৬ তারিখে সাক্ষাৎকারের জন্য তারিখ দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সাক্ষাৎকারের জন্য নির্দিষ্ট তালিকা প্রকাশ না করায় অসংখ্য ভর্তিচ্ছু আসে সাক্ষাৎকারের জন্য। তাদের সামাল দিতে কিছুটা হিমশিমও খেতে হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। ১৭ তারিখে ফাঁকা আসনে ভর্তির জন্য ফলাফল প্রকাশ করলে একাধিক শিক্ষার্থী আশাহত হয়ে পড়ে। তারা দেখতে পায় যে তাদের পিছনের মেধাতালিকা থেকে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। কিন্তু তাদের সকল শর্ত পূরণ ও সাক্ষাৎকারে উপস্থিত থেকেও তাদের নাম তালিকায় নেই।


মো. রায়হান রাসেল নামের এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমি ‘বি’ ইউনিটে সাক্ষাৎকার দিয়েছি এবং সিগনেচারও করেছি। আমার পজিশন ছিল ১১৮১। ফলাফল প্রকাশের পরে দেখি আমার পরে থেকে অনেকের চান্স হলেও আমার চান্স হয়নি। সর্বশেষ ১২৯২ পজিশন যার, তারও নাম এসেছে। কিন্তু আমার নাম আসেনি। আমি আমার ন্যায্য প্রাপ্তি আশা করি। এই অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্ত করে এগিয়ে থাকা পজিশনধারীদের মনোনীত করা হোক।


লামিয়া ইসলাম চাঁদনি নামের এক ভর্তিইচ্ছুর একই রকমের অভিযোগ রয়েছে। ‘বি’ ইউনিটে পজিশন ১২৩৯ থাকা সত্বেও তার নাম মেধা তালিকায় আসেনি বলে জানান তিনি। ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী।


এদিকে, আজকে মনোনীতদের চূড়ান্ত ভর্তির তারিখ দেওয়া হলে অনেকেই চূড়ান্তভাবে ভর্তি হচ্ছে। এর সঠিক সুরাহা না পেয়ে আন্দোলন করেছে ভুক্তভোগী ভর্তি-ইচ্ছুকরা। তারা এই অনিয়ম মানতে নারাজ। সুষ্ঠু ভর্তি কার্যক্রম চেয়ে ও নিয়ম বহির্ভূত ভর্তি স্থগিত চেয়ে প্রশাসনিক ভবনের নিচে আন্দোলন করে তারা।


তবে এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হুমায়ুন কবীরের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। ভর্তিকমিটির সাথে মিটিং করে শীগ্রই একটি সমাধান বের করার চেষ্টা করব। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য হল, আমরা তিনজন ভর্তিচ্ছুর অভিযোগ পেয়েছি। যাচাই করে দেখা গেছে তারা রিপোর্টিংয়ের সময় তাড়াহুড়ো করে বা অন্য কোনো কারণে স্বাক্ষর করেনি অথবা প্রবেশপত্র জমা দেয়নি। এমন কোনো কারণেই ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হয়নি।


উল্লেখ্য, ভুক্তভোগীদের কাছে থেকে লিখিত আবেদনপত্র জমা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সিদ্ধান্ত প্রদান বিলম্বে আন্দোলন কর্মসূচির জন্যও একত্রিত হয়েছে তারা।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীরের কাছে গেলে সেই সময় তিনি বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো ভর্তিইচ্ছু শিক্ষার্থীর সংশয় বা অভিযোগ থাকলে গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী ২ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে ব্যাংক রশিদসহ আবেদন করতে হবে।


বিবার্তা/বাপ্পি/জামাল

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com