ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৯ সদস্যকে করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এই চক্রটি ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল জানিয়ে পুলিশ বলছে, ডুপ্লেক্স বাড়ি টার্গেট করে ডাকাতির আগে তারা বেশ কয়েক দিন রেকি করেছে।
ঢাকার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ডাকাতরা কেউ ফেরিওয়ালা সেজে, কেউ বাড়িগুলো সুন্দর বলে পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেন। এই ফাঁকেই তারা খুঁজে নিতেন, কীভাবে কোন পথে বাসায় প্রবেশের সুযোগ আছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে অনেকেই বাগানবাড়ি টাইপের অট্টালিকা তৈরি করছেন। মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে তারা অবস্থান করেন। আবার অনেকেই স্থায়ীভাবে সেখানে অবস্থান করেন। কিন্তু আমরা দেখেছি যে অনেকেই অনেক টাকা খরচ করে বাড়িগুলো বানিয়েছেন। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তার বিষয়টি যেমন সিটি ক্যামেরা বা পাহারাদার রাখার মতো অনেক বিষয়ে তাদের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। অনেক সময় প্রমাণ মুছতে আগেই নষ্ট করে দেওয়া হয় সিসি ক্যামেরা।
তেমনি ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মজিদ বেয়ারা এলাকার একটি আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়িতে। বাড়ির নিচতলার জানালার গ্রিল কেটে পাঁচ থেকে ছয়জন ডাকাত ঢুকে পড়ে ভেতরে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় বাড়ির মালিক, তার স্ত্রী এবং দুই শিশু সন্তানকে। ডাকাতি করে নেওয়া হয় নগদ টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী। প্রমাণ মুছতে আগেই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, গত ৯ অক্টোবর রাত ৩টা ৪৮ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয় ডাকাতরা। প্রথমেই তারা ওই বাসায় থাকা প্রতিটি কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বাসার লোকজনকে একে একে অস্ত্রের মুখে করে জিম্মি। নারীদের আটকে রাখা হয় আলাদা কক্ষে। রাত সাড়ে ৪টার মধ্যেই ডাকাত দলটি লুট করে নেয় বাড়িতে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা আছে।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]