
চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রী লাইলি সুলতানা কুলসুমকে হত্যার ১১ বছর পর স্বামী শুকুর আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় আদালত দুজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ আদেশ দেন। আসামি শুকুর আলী পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতে বিচারকাজ সম্পন্ন হয়।
মৃত লাইলি সুলতানা কুলসুম আলমডাঙ্গা উপজেলার পারদূর্গাপুর গ্রামের সামসুল জোয়ার্দ্দারের মেয়ে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মুন্সি মো. শাহজাহান মুকুল বলেন, ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর রাত সাড়ে তিনটার সময় জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে স্বামী শুকুর আলীর বাড়ি থেকে লাইলি সুলতানা কুলসুমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই সময়ে কুলসুমের বয়স ছিল ২২ বছর। পরে পুলিশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে।
এ ঘটনায় নিহত কুলসুমের পিতা সামসুল জোয়ার্দ্দার পরদিন ২৮ নভেম্বর আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই আসামী শুকুর আলী তার স্ত্রী কুলসুমকে মারপিট করতো।ঘটনার রাতে যৌতুকের দাবিতে মারপিট এবং শ্বাসরোধ করে শুকুর আলী তার স্ত্রী কুলসুমকে হত্যা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। এ মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষীকে পরীক্ষা করে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক এনায়েতপুর গ্রামের আসান মল্লিকের ছেলে শুকুর আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন।
মামলার আসামি শুকুর আলী মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতেই বিচারকাজ সম্পন্ন করা হয়। আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ মামলায় এজাহার দায়েরের সময় আসামি শুকুর আলীর পিতা আসান আলী ও মাতা সাহেদা খাতুনকেও আসামি করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতের বিচারক এই দুজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন।
বিবার্তা/আসিম/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]