র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদা তৎপর রয়েছে র্যাব।
১৮ আগস্ট, শুক্রবার সিপিসি-২ পাবনার একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১৪/১৫ ঘণ্টা ব্যাপী অভিযান চালিয়ে পাবনা এবং কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে আন্তঃজেলা চোর চক্রের প্রধান রহিম মোল্লা এবং তার সহযোগী আরও ১২ জনকে গ্রেফতার করে এবং ৪টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়।
দীর্ঘদিন যাবৎ এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন জেলায় গবাদি পশু চুরি করে আসছিল। এই চক্রের মূল হোতা রহিম মোল্লা দলের সমন্বায়ক হিসেবে কাজ করে। এই চক্রের কয়েকজন চুরির স্থান নির্ধারণ করে, কয়েকজন চোরাই গরু ট্রাকে করে এক জেলা হতে অন্য জেলায় স্থানান্তরিত করে এবং বাকিরা চোরাই গরু বিক্রয়ের কাজ করে। দীর্ঘদিন ধরেই র্যাব এই আন্তঃজেলা চোর চক্রটিকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
গতকাল র্যাব সুনির্দিষ্ট তথ্য পায় যে রহিম মোল্লার নেতৃত্বে চোরাই চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্য গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে গরু চুরি করে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে চোরাই গরু গুলোকে লুকিয়ে রেখে পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি ভাড়া বাসায় আত্মগোপন করে আছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব প্রথমে চোরাই চক্রের অধিকাংশ সদস্যকে পাবনার ঈশ্বরদী হতে গ্রেফতার করে।
পরবর্তীতে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার মরিচা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৪টি চোরাই গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হয় র্যাব। এর মধ্যে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হতে চুরি করা গরু ছাড়াও দেশের আরও বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করা গরু রয়েছে।
এছাড়া আরো বেশ কিছু গরু ইতোমধ্যেই হাত বদল হয়ে গিয়েছে বলে আসামীরা র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। এই চোরাইচক্রের গ্রেফতারকৃত সকল সদস্যই, বিভিন্ন জেলা থেকে গরু চুরি করে অন্য জেলায় তা বিক্রয়ের করার কথা র্যাবের কাছে অকপটে স্বীকার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এর মাধ্যমে র্যাব আরও বেশ কয়েকটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে।
এই চক্রের আরো বেশ কয়েকজন সদস্য ও বর্তমানে পলাতক আছে। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত আরো চোর চক্রের হোতাদের গ্রেফতার এবং এই চক্রের অন্যান্য পলাতক সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য র্যাবের অভিযান আরো জোরদার করা হয়েছে। চোর চক্রের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় তারা প্রায় সকলেই ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। তারা গোপালগঞ্জ ছাড়াও এর আশেপাশে নড়াইল, যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দীর্ঘদিন যাবত প্রান্তিক খামারি ও কৃষকদের বসতবাড়ি থেকে গরু চুরি করে তা অন্যান্য জেলায় তাদের প্রতিনিধি মারফত হাত বদল করে আসছিল।
গবাদি পশু চুরি এবং চোরাই পণ্য নিজ হেফাজতে রেখে বিক্রয়ের অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।
বিবার্তা/পলাশ/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]