
অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের তৈরি করা চাপের পরিমাণ কম ছিল না। সমান না হলেও রিয়াল মাদ্রিদের চোখে চোখ রেখে লড়েছে তারা। পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়ালের ৩ গোলের ৩টিতেই অবদান তার; লিডসূচক গোলের পর ফরাসি তারকা এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে একটি বানিয়ে দেন, এরপর করেন আরেকটি গোল। এর্নেস্তে ভালভার্দের শিষ্যদের মাঠ ছাড়তে হয়েছে হতাশ হয়ে।
রিয়াল মাদ্রিদের ৩ গোলের বিপরীতে বিলবাওয়ের গোলসংখ্যা ‘০’। আগের তিন ড্র করা রিয়াল পেয়েছে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট। ১৫ ম্যাচ শেষে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে তারা, এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে বার্সেলোনা আছে এক নম্বরে। ৮ নম্বরে থাকা বিলবাওয়ের পয়েন্ট ২০।
স্যান ম্যামেসে সপ্তম মিনিটেই রিয়ালকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। রিয়াল গোল আটকাতে ব্যস্ত ছিল, নিকো উইলিয়ামসের পাস থেকে বল পেয়ে যান ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড। ডানদিকে কিছুটা কাটিয়ে ওপরে উঠে এমবাপ্পেকে লক্ষ্য করে লম্বা পাস দেন তিনি। প্রায় মাঝমাঠে বল পাওয়া ফরাসি তারকা তিনজনকে কাটিয়ে ডি বক্সে সামান্য বাইরে থেকে গোল করেন।
বিরতির আগে রিয়ালের গোলটি দলগত পারফরম্যান্সের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এবারও রক্ষণ থেকে আক্রমণে উঠে তারা। থিবো কর্তোয়া, এডার মিলিটাও, আর্নল্ড, ফেদে ভালভার্দে, এমবাপ্পে, ভিনিসিউসসহ আরও কয়েকজনের পা ছুঁয়ে যাওয়া বল বেলিংহ্যাম বাড়িয়ে দেন আর্নল্ডের দিকে। বিলবাওয়ের বক্সের ডানদিক থেকে আর্নল্ড তা ভাসিয়ে দেন এমবাপ্পের মাথায়। ফরাসি তারকার হেডের পর কামাভিঙ্গার হেড। ব্যবধান হয় ২-০।
এমবাপ্পের শেষের গোলটিই সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন। ডি বক্সের বেশ কয়েক হাত দূর থেকে নেওয়া শট জালে প্রবেশ করে গোলরক্ষকের অনেকটা নাগালের বাইরে দিয়ে। এটা এবারের লিগে তার ১৬তম গোল। লা লিগায় তো বটেই, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যেই যা সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ গোল করেছেন আরলিং হল্যান্ড। শুধু লিগ কেন, সবমিলিয়ে এমবাপ্পে এই মৌসুমে করেছেন ২৫ গোল। এটাও শীর্ষ পাঁচ লিগে খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ গোল করেছেন বায়ার্ন মিউনিখের হ্যারি কেন।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]