শিরোনাম
করোনা যেভাবে পর্দার প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:০০
করোনা যেভাবে পর্দার প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

করোনা মহামারিতে মানবজীবনে যে রূপান্তর ঘটেছে এটি যারা ইসলামি অনুশাসন মেনে জীবনযাপন করেন, তাদের স্বাভাবিক জীবনাচার। এটিকে ‘মডেস্ট লাইফস্টাইল’ বা বিনয়ী জীবনধারা আখ্যা দিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস ইসলামিক ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন কাউন্সিলের প্রধান আলিয়া খানের নারীদের ফ্যাশনসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে।


আলিয়া খান ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, করোনাক্রান্ত বিগত দুই বছরে বিশ্ব এমন এক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করল, যা মানবজীবনকে আমূল বদলে দিয়েছে। ঘরে ও কর্মক্ষেত্রে যেসব কঠোর পরিবর্তন এসেছে, তা মানুষের পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান পদ্ধতিকে বেশ প্রভাবিত করেছে।


একটি শালীন ও নির্মল জীবন গঠনের জন্য সাধারণত শৈশব থেকেই মুসলমানরা একই সঙ্গে শালীনতা ও কমনীয়তায় বেড়ে উঠতে থাকে। করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য মুখমণ্ডল আচ্ছাদিত করার বিষয়টি একটি স্বাভাবিক আচরণে রূপ নেয়ার পর আমার বোধগম্য হলো- ইসলামি ফ্যাশন তো এর কথাই বলে এবং এরূপ পরিচ্ছদের প্রতিই উৎসাহ দেয়, যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আবর্জনা থেকে চেহারাকে মুক্ত রাখে।


কোরআনের হাফেজ হলেন ইংলিশ মিডিয়ামের ৩৮ শিক্ষার্থী


ইসলামি ফ্যাশন মুসলমানদের ব্যবহারিক লক্ষ্যের প্রতি সহায়তা দেয়। কেননা তা প্রকৃতি, বাস্তবতা এবং শালীনতা ও বিশুদ্ধ জীবনযাত্রার প্রতিনিধিত্ব করে। এতদসত্ত্বেও ইসলামি ফ্যাশন ও জীবনমান কটূক্তির স্বীকার। পর্দাপালনের কারণে পশ্চিমারা মুসলিম নারীদের দুর্বল ও অবহেলিত আখ্যায়িত করে, যা অবান্তর ও অবাস্তব।


বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা সংগঠন মুসলিম নারীদের হিজাব পরিধান ও পর্দাপালন নিষেধাজ্ঞার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। অথচ তাদের চোখ হিজাব পরিধানকারী পেশা; যেমন- নার্সিং, সার্জারি, কুকিং এবং অন্যান্য ধর্মের লোকদের; যেমন— শিখ, ইহুদী, ক্যাথলিক, হিন্দু ও বৌদ্ধদের মাথাবৃত করা প্রত্যক্ষ করে না।


কিন্তু কোভিড-১৯ আক্রান্ত বিগত দুই বছরে মাস্ক বিশ্বে নিকাবের প্রতীক হয়ে উঠেছে। মুখ ঢেকেরাখা এখন আমাদের সামাজিক সৌজন্য বোধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


মাস্ক পরিধানের দুই বছর অতিবাহিত হওয়ার পর অসংখ্য নারী পর্দা বা মুসলিম নারীদের নেকাবে মুখ ঢাকার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছেন এবং অমুসলিম হওয়া সত্ত্বেও একটি আবরণের পেছনেই নিজেদের বেশি নিরাপদ অনুভব করছেন। বিশেষত পরপুরুষের অযাচিত দৃষ্টি থেকে নিজেদের সুরক্ষায় এটি তাদের মন কেড়েছে।


করোনার কারণে ইসলামি ফ্যাশনের প্রতি বিশ্ববাসীর যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তা আগামী বছরগুলোতে পৃথিবীতে পোশাক পদ্ধতি ও অর্থনীতির মান গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইতিমধ্যে ইসলামি ফ্যাশন ও পোশাকরীতি বৃহৎ একটি জায়গা দখল করে নিয়েছে।


আশার ব্যাপার হলো- ইসলামি ফ্যাশনের ভবিষ্যৎকে অমিত সম্ভাবনাময় একটি খাত অনুভব করা যাচ্ছে, যার নানা নিদর্শন ইতিমধ্যে দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। মুখাবরণের জন্য হিজাব পদ্ধতি একটি পরীক্ষিত, মার্জিত ও নিরাপদব্যবস্থা। এ জন্য এখন এটি কথিত মূলধারার ফ্যাশনের অংশ হয়ে উঠেছে, যা আগামী পৃথিবীতে ব্যাপকতার ক্ষেত্রে ইসলামি ফ্যাশনের জন্য একটি বড় সুযোগ।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com