শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সবসময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যা করণীয় তা করেছেন। একসময় মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতে অনেক জায়গায় শঙ্কা বোধ করতেন। আজকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের চাকরির সুব্যবস্থা করে দিয়েছেন। শুধু সন্তান নয়, নাতি-নাতনিদেরও চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। একসময় এর বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন হয়েছে কিন্তু শেখ হাসিনা তার সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও নড়েননি।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমিতে কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভিশনারি নেতৃত্ব না থাকলে দেশ এগিয়ে যায় না মন্তব্য করে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, নেতার মধ্যে ভিশনারি কোয়ালিটি না থাকলে দেশ কিছু পায় না। বঙ্গবন্ধুর পর জিয়াউর রহমান, এরশাদ, বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন কিন্তু দেশকে এগিয়ে নেওয়ার তাদের ভিশন ছিল না। তাদের দক্ষতা, প্রজ্ঞা ছিল না। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার মধ্যে পিতার মতো একটা ভিশন ছিল যার জন্য বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার প্রশংসা করে হানিফ বলেন, পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক নেতা ছিলেন, যারা স্বপ্ন অনেক সময় দেখিয়েছেন, কিন্তু স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেননি। জাতির পিতা আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং তা বাস্তবায়ন করেছেন।
তিনি বলেন, কারো দয়ায় এই দেশ স্বাধীন হয়নি। কোনো গোলটেবিল আলোচনায় বসে স্বাধীনতা আসেনি। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু দীর্ঘদিন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। বারবার পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তিনি কখনো গ্রেফতার বা নির্যাতনের ভয়ে পিছপা হননি। বাঙালি জাতির অধিকারের জন্য তিনি সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন এই দেশটা হবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের উন্নত আত্মমর্যাদাশীল দেশ। সেই লক্ষ্যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল তার নেতৃত্বে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে সেই স্বপ্নকে রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আজকে তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে আমরা অনেকদূর এগিয়ে গেছি। ২০০৮ সালে এই দেশ বিশ্বের বুকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে চরম দরিদ্র দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারবো এবং ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারবো।
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণ হয়েছে, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়েছে। দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। দেশ আজ শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল হয়েছে। ঢাকায় মেট্রোরেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা সেতু হয়েছে। দেশপ্রেম, দক্ষতা, যোগ্যতা থাকলে দেশ এগিয়ে যায় আজ তা প্রমাণ করেছেন শেখ হাসিনা।
হানিফ বলেন, এই কুষ্টিয়া এক সময়ে অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া ছিল। আমার লক্ষ্য ছিল একটাই যতটুকু পারা যায় কুষ্টিয়ার উন্নয়নে কাজ করা। পিছিয়ে পড়া কুষ্টিয়াকে এগিয়ে নেয়াই আমার লক্ষ্য। একটি উন্নত, আধুনিক কুষ্টিয়া গড়বো এটাই আমাদের স্বপ্ন।
বিবার্তা/সোহেল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]