প্রহসনের নির্বাচন বর্জনে ঘোষিত লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে সচেতনতা মূলক প্রচারপত্র বিলি করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি - এবি পার্টি।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় একাত্তর চত্বর থেকে শুরু করে কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচাসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করে দলটি।
প্রচারপত্র বিলির শুরুতেই বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
এসময় মেজর (অব.) মিনার বলেন, আওয়ামী লীগ ৭৪ সালের বাকশালের মুখোশ বদল করে নতুন ছদ্মবেশ ধারণ করেছে মাত্র, তাদের আচরণ বা কর্মকাণ্ডে কোন পরিবর্তন আসেনি। ক্ষমতায় আসার আগের ২৮শে অক্টোবরে আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যা করে মৃত লাশের উপর নৃত্য করেছিলো আর গত ২৮ অক্টোবর তারা বিরোধীদলের সমাবেশে গ্রেনেড মেরে, গুলি করে মানুষ হত্যা করে, নেতৃবৃন্দকে জেলে পুরে একটি সাজানো নির্বাচন করে আবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন লুটেরা আর ভোট ডাকাতদের নির্বাচন। আজ কিছু দালাল ভিড়িয়ে আওয়ামী লীগ লুটপাট অব্যাহত রাখার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। পত্রিকায় এসেছে হুইপের ভাইকে কান ধরে উঠবস করানো হয়েছে, আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনের যে নাটক দেখাচ্ছে এগুলো তার নমুনা। এই সরকারে যারাই মন্ত্রী, এমপি এমনকি চেয়ারম্যানও হয়েছে তারা আজ শতকোটি টাকার মালিক। এই নির্বাচন এই লুটেরা আর কালোবাজারিদের নির্বাচন। বাংলাদেশের জনগণ কখনোই কোন স্বৈরাচারের কাছে মাথানত করেনি। এই স্বৈরাচার শেখ হাসিনার কাছেও মাথানত করবেনা। জনগণের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে ইনশাআল্লাহ।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগ মানেই দুর্ভিক্ষ। ৭৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতারা আনন্দ ফুর্তি করেছে অথচ দেশের মানুষ কুকুর বিড়ালের সাথে ডাস্টবিনে খাবার ভাগাভাগি করেছে। এই দুর্ভিক্ষ নিয়ে কোন গবেষণাও কেউ করেনি, করেছে ভারতের অমর্ত্য সেন, যেটা নিয়ে তিনি নোবেল পেয়েছেন। আজও দেশের এই পরিস্থিতি। শেখ হাসিনার দলদাস লুটেরারা ব্যাংক, শেয়ারবাজার, সরকারি টেন্ডার সব লুট করে ডলার পাচার করে নতুন করে দুর্ভিক্ষের সামনে দাঁড় করিয়েছে দেশকে।
কর্মসূচিতে আরো অংশ নেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, আমিরুল ইসলাম নুর, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, যুবপার্টি মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, স্মরণ চৌধুরী, রিপন মাহমুদ, মশিউর রহমান মিলু, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]