রাজনীতি
জামায়াতকে বিতর্কিত করতে আওয়ামী মিডিয়া কাজ করছে: শামসুজ্জামান দুদু
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৩, ২১:৫২
জামায়াতকে বিতর্কিত করতে আওয়ামী মিডিয়া কাজ করছে: শামসুজ্জামান দুদু
মোহাম্মদ ইলিয়াস
প্রিন্ট অ-অ+

জামায়াতে ইসলামী আন্দোলনের বাইরে রয়েছে বা নির্বাচনে যাবে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়, বরং তাদেরকে বিতর্কিত করার জন্য আওয়ামী মিডিয়া তাদের মত করে প্রচার করছে। এতে কোন লাভ হবে না। জামায়াত আন্দোলনে রয়েছে, আমার ধারণা তারা আন্দোলনেই থাকবে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বিবার্তার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।


তিনি বলেন, জামায়াতকে নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়েছে, তাদের অফিস বন্ধ করে দিয়েছে এটা তো ঠিক। সরকারের বেপরোয়া নির্যাতনের মুখোমুখি জামায়াত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তাদের মতো করে, তাদের সাংগঠনিক অবস্থানে তারা আন্দোলন করছে।


সম্প্রতি কূটনৈতিকদের সাথে বিএনপির তৎপরতা, বিএনপি ২০ দল ভেঙে ৩৬ দলের সাথে আন্দোলন, বর্ষা এবং এইচএসসি পরীক্ষা আন্দোলনে বাধা হতে পারে কিনা, বিএনপির আন্দোলনে জামায়াত নেই- এছাড়া নানা দিক নিয়ে বিএনপির এই নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন বিবার্তার নিজস্ব প্রতিবেদক মোহাম্মদ ইলিয়াস। সাক্ষাৎকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পাঠকদের জন্য তুলে দেয়া হলো।


বিবার্তা: সম্প্রতি কূটনৈতিকদের সাথে বিএনপির তৎপরতা দেখা যাচ্ছে, বিদেশিরা বিএনপির কাছে বিশেষ কিছু জানতে চাচ্ছে কি-না ?


শামসুজ্জামান দুদু: প্রথমত বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কম বেশি সকলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে বিএনপি বিরোধী দলে এবং সরকারে থাকা অবস্থায় কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে এসেছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে এই সম্পর্ক প্রবহমান। বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য। স্বাভাবিক কারণে মানুষ যার জন্য রক্ত দিয়েছে, শ্রম দিয়েছে, ঘাম ঝড়িয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে- এগুলো তো তার পক্ষে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। সেই লড়াইটা এখন বিএনপি করছে। অর্থাৎ ন্যূনতম ভোটাধিকারের ভিত্তিতে মানুষ যেন তার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে। এই একটি জায়গাতে বিদেশিরা বিশেষ করে যারা গণতন্ত্রের পক্ষে এবং প্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ রয়েছেন; যেমন- আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এ সকল দেশগুলো স্বাভাবিক কারণে গণতন্ত্রের স্বপক্ষেই যাবে, কথা বলবে।



১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ এবং জামায়াত ইসলামসহ বামপন্থী দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিল। তখন শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশের কাছে চিঠি লিখেছিলেন যে- এখানে নির্বাচন হয় না। ওইসময় এসব দেশগুলো সেই আন্দোলনের স্বপক্ষেই কাজ করেছে। বর্তমান সরকার কেয়ারটেকার বাতিল করেছে কোর্টকে সামনে রেখে। কোর্ট কিন্তু বাতিল করেনি, পার্লামেন্টের উপর ছেড়ে দিয়েছে। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পার্লামেন্টে বেগম জিয়াকে দিয়ে পাস করান হয়েছে। এই সরকার এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সেই বিধানটি পার্লামেন্টে রোধ করেছে, বাতিল করে দিয়েছে। এখনকার একদলীয় পার্লামেন্টে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তারা ইচ্ছে করলে এই আইনটি পুনর্জীবন করতে পারে। একসময় এই আইনটির জন্য তারা বিভিন্ন দেশের কাছে চিঠি লিখেছে, আন্দোলন করেছে। এখন বিএনপি যদি এ বিষয়ে কারো সাথে বলে- তখন আওয়ামী লীগের উচিত বিএনপিকে কাছে ডাকা; যে এই আইনের জন্য আমরাও এক সময় আন্দোলন করেছি, এখন তোমরা আন্দোলন করছ। আসো এই আইনটি আমরা সমাধান করি। কিন্তু সংবিধান থেকে এক ইঞ্চিও লড়ব না, বাইরে যাব না; এটা স্বৈরতান্ত্রিক মনোবৃত্তি। এই সংবিধান দেশের জনগণের নয়, এটা বিচারপতি খাইরুল হকের সংবিধান, এটা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সংবিধান। জনগণের সংবিধান নয়। পৃথিবীর যে কোন দেশ গণতন্ত্রের সপক্ষে যদি সমর্থন দেয় তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থাকবে। তাদেরকে আমরা অভিবাদন জানাব।


পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্রের চাওয়া, পাওয়া থাকতেই পারে, না থাকার কোনো কারণ নেই। কিন্তু সেটা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ভারত যা নিয়েছে, সেটা প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন। যে এমন কিছু ভারতকে দিয়েছি যা তারা কখনোই ভুলতে পারবে না। তিনি উল্লেখ করেননি, কিন্তু আমরা দেখছি চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর বিনা পয়সায় ব্যবহার করছে। আমাদের সড়ক পথ এবং রেলপথ তারা বিনা পয়সায় ব্যবহার করছে। পৃথিবীর এমন কোন বন্দর নেই যেটা অন্য দেশ ব্যবহার করলে বিনা পয়সায় ব্যবহার করতে পারে। এরা ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশটাকে ফোকলা করে ফেলেছে। এটা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি নতুন সরকার, নতুন চিন্তা, নতুন ভাবনার দরকার। এছাড়া দেশ রক্ষা করা কঠিন।



বিবার্তা: বিএনপি ২০ দল ভেঙে ৩৬ দলের সাথে আন্দোলন করায় বিশেষ ফায়দা পাচ্ছে কি-না?


শামসুজ্জামান দুদু: আমরা আমাদের অবস্থান থেকে এবং ৩৬টি রাজনৈতিক দল তাদের অবস্থান থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করছে। একটি জায়গায় সকলের সাথে মিল রয়েছে সেটা হচ্ছে দেশটিকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনা। স্বৈরতন্ত্রকে উচ্ছেদ করা, কর্তৃত্ববাদ শাসনকে পরাভূত করা। ছোট বড় সকল দলগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে এবং যেখানে আমরা বলেছি এই আন্দোলনে জয়লাভ করলে ছোট বড় সকল রাজনৈতিক দল- যারা নির্বাচনে যাবে তারা যদি পরাজিতও হয়, নির্বাচন পরবর্তীতে বিএনপি রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য, রাষ্ট্র মেরামতের একটি কর্মসূচি দিয়েছে সকলকে নিয়ে সেটা করা হবে। সেজন্য জয়লাভ করলে শুধু বিএনপি একা ক্ষমতায় যাবে এরকম নয়। রাষ্ট্র এমন একটি জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা মেরামত ছাড়া এই গাড়ি আর সামনে এগোবে না।


বিবার্তা: বিএনপি সারা দেশে একক ব্যানারে আন্দোলনে বেশি আউটপুট পাচ্ছে নাকি জোটের আন্দোলনে?


শামসুজ্জামান দুদু: আমরা তো এখন যুগপৎ আন্দোলনেই রয়েছি। আমরা তো যুগপৎ ধারায় রয়েছি এবং সকল কর্মসূচি দলগতভাবে পালন করছি। জেলা পর্যায় পালন করেছি, বিভাগীয় পর্যায় পালন করেছি, ঢাকাতে পালন করেছি। কর্মসূচিগুলো রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থেকে পালন করছে। সুবিধা অসুবিধার ব্যাপার নয়, বড় দল হিসেবে আমাদের ভূমিকাটা একটু বেশি। যেহেতু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, অন্য রাজনৈতিক দল যদি ছোটও হয়ে থাকে তারা একথাগুলো তুলে ধরছে সেটার গুরুত্ব অপরিসীম। সেজন্য বিএনপি এবং অন্য রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ অথবা যে কথাই বলি না কেন আমরা একটি অভিন্ন চিন্তার দিকে এগুচ্ছি- সেটা হচ্ছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা।


বিবার্তা: একাদশ নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি বলেছিল খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না, কিন্তু আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে গিয়েছে। দ্বাদশ নির্বাচনের আগেও বলছে- তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচনের যাবে না। কিন্তু শেষ সময় এসে যদি অতীতের মতো দৃশ্যপট তৈরি হয় তাহলে তৃণমূল এবং দেশের জনগণ নেতিবাচক হিসেবে নিতে পারে বলে মনে করেন কি না?


শামসুজ্জামান দুদু: স্পষ্ট করেই বলা যায় সেই সম্ভাবনা একেবারেই নেই। ২০১৪ সালে নির্বাচনের পরবর্তীতে সরকার এবং তাদের মিডিয়া বিভিন্নভাবে প্রচার করে বিএনপি যদি অংশগ্রহণ করত তাহলে ভালো করত, তারা ক্ষমতাও যেতে পারত। শেখ হাসিনা তার সরকার এবং তার মিডিয়া, প্রশাসন এমনভাবে প্রচারণায় নিয়ে আসে অনেকেই ভাবতে শুরু করে বিএনপি নির্বাচনে গেলে ভালো করত। দ্বিতীয়ত বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা, মিডিয়া মনে করেছিল শেখ হাসিনা বোধহয় ভালো হয়ে গেছে, উনি মনে হয় পরবর্তী (২০১৮ সালে) নির্বাচনে যে অঙ্গীকারগুলো করেছেন তা প্রতিষ্ঠা করবেন। শেখ হাসিনা বলেছিল- আমি শেখ মুজিবের কন্যা আমাকে একবার বিশ্বাস করেন- এসব আবেগের কারণে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে বিএনপিও মনে করছিল শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করা যায়। তিনি যখন সবার সামনে প্রকাশ্যে বিশ্বাসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে, তখন সকলে মনে করছে ঠিক আছে দেখা যাক। ১৪ সালের নির্বাচন আর ১৮ সালে এসে অংশগ্রহণ প্রেক্ষাপট যেটাই হোক মানুষ মনে করেছিল শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার ভুল করবে না। অথবা জাতির সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করবে না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সকালে ইলেকশন হওয়ার কথা, কিন্তু এটা মধ্যরাতে হয়ে গেছে। জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট করে বলে গেছেন- তিনি জীবনে দেখেননি এবং শোনেননি কোন নির্বাচন মধ্য রাতে হয় এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখানে সহযোগিতা করে। অর্থাৎ বর্তমান সরকার প্রধান এবং সরকার প্রধানকে ন্যূনতম বিশ্বাস করার যে জায়গা সেটি এখন নেই, একেবারে ধ্বংস করে ফেলেছে, এটা তারাই করেছে। যে কারণে রাজনৈতিক দলগুলো যতই সঙ্কটের মুখে পরুক না কেনো এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে এটা বিশ্বাস করার কথা নয়। অর্থাৎ এই সরকারকে পরিবর্তন করে, পরাজিত করে, সরিয়ে কেয়ারটেকার প্রতিষ্ঠা করে যেমনটি ১৯৯৬ সালে হয়েছিল, ওরকম একটি অবস্থা তৈরি করে তারপরে যাওয়াটাই শ্রেয়। কেয়ারটেকারের অধীনে সকলেই তো একসময় অংশগ্রহণ করেছে। আমার ধারণা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনে শেখ হাসিনাও অংশগ্রহণ করবেন। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে এটা ভাবার কোন কারণ নেই।


বিবার্তা: বিএনপি যখন একদফা আন্দোলন শুরু করেছে তখন বর্ষা মৌসুম চলছে কিছুদিন পর এইচএসসি পরীক্ষা; বর্ষা এবং এইচএসসি পরীক্ষা বিএনপির আন্দোলনে বাধা হতে পারে কিনা?


শামসুজ্জামান দুদু: এখন তীব্র গরম চলছে। এই গরমের মধ্যেও সারাদেশে সমাবেশে উপস্থিতিটা লক্ষ্য করে দেখবেন। বিভিন্ন জেলা এবং বিভাগে সমাবেশে যে উপস্থিতি রয়েছে এটা আগে কখনো দেখা যায়নি। নেতাকর্মী সাধারণ মানুষ এতটাই বেপরোয়া। এখন আমাদের ফয়সালা একটিই, যেটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন- ফয়সালা হবে রাজপথে। ফয়সালা রাজপথেই হবে, কারণ এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা শেষ হয়ে গেছে। তো ফয়সালা- আন্দোলন সংগ্রাম এবং রাজপথের মধ্য দিয়েই হবে। সে কারণে কোনো পরীক্ষা বা অন্য কোন বিষয় সেটি যখন সামনে আসবে তখন হয়ত একদিন দুদিন বা পাঁচ দিন...থাকতে পারে। কিন্তু আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি ছাড় দেবে না। অথবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলও ছাড় দিবে এটা মাথায় না নেওয়াই ভালো।


বিবার্তা: যুগপৎ আন্দোলনের বিষয় ৩৬ দলের সাথে আলোচনা হলেও জামাতের সাথে বিএনপির কোন আলোচনা হচ্ছে না কেন?


শামসুজ্জামান দুদু: আলোচনা হওয়ার দরকার নেই তো...। আলোচনার স্বপক্ষেই রয়েছে জামায়াত। সবার সঙ্গে সব সময় যে আলোচনা হচ্ছে, কথা হচ্ছে- এমন নয়, যখন প্রয়োজন হচ্ছে তখন আলোচনা হচ্ছে। সেই কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের ভূমিকা উপর নির্ধারণ হবে তারা কি চাচ্ছে। আগে থেকেই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।


জামায়াতে ইসলামী আন্দোলনের বাইরে রয়েছে বা নির্বাচনে যাবে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়, বরং তাদেরকে বিতর্কিত করার জন্য আওয়ামী মিডিয়া তাদের মত করে প্রচার করছে। এতে কোন লাভ হবে না। জামায়াত আন্দোলনে রয়েছে, আমার ধারণা তারা আন্দোলনেই থাকবে।



বিবার্তা: ইনসাফ পাটিকে বিএনপি কীভাবে দেখছে?


শামসুজ্জামান দুদু: ইনসাফ পার্টির খুব একটি কার্যক্রম আমার চোখে পড়েনি। তারা যদি রাস্তায় আসে কেয়ারটেকার চায়, আন্দোলন করে, ভূমিকা রাখতে চায় তাহলে বাধা নেই। একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দল, ইনসাফ পার্টির একটি দুইটি বিবৃতি ছাড়া ওই ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম দেখিনি।


বিবার্তা: ইনসাফ পাটি কি বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করছে?


শামসুজ্জামান দুদু: ওই ধরনের কার্যক্রমে তারা নেই, কিন্তু ভিতরে ভিতরে কি করছে এটা জ্যোতিষীরা বলতে পারবেন। গণকরা বলতে পারবেন। আমি তো গণক বা জ্যোতিষী নাই।


বিবার্তা: তাহলে এই পার্টির সাথে যুক্ত থাকার জন্য বিএনপির এক শীর্ষ নেতাকে কেন বহিষ্কার করা হলো?


শামসুজ্জামান দুদু: সেটা আমরা সুনির্দিষ্ট ভাবে বলেছি। ইনসাফ পার্টিতে তিনি যাওয়ার কারণেই যে বহিষ্কার হয়েছে এমন নয়। তার আগেও বেশ কিছু ঘটনায় তার কাছে আমরা দলগতভাবে জিজ্ঞেস করেছি। আবার তিনি পরবর্তীতে ওইসব ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন। পার্টির নীতি আদর্শ সংগঠনের প্রক্রিয়ার বাইরে যদি কেউ চলতে চায় তাহলে তার অব্যাহতি নিয়ে যাওয়া ভালো, না হলে বহিষ্কারের মুখোমুখি হতে হবে। সেটা যে কেউ হোক, এমন কি আমিও হতে পারি। একটি রাজনৈতিক দলের নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হবে। আমার ধারণা উনি যতদিন বিএনপির ভূমিকা পালন করেছেন, উনি তো আমাদের সঙ্গে ছিলেন। ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হবে তিনি কি করতে যাচ্ছেন। সকলে যে বিএনপি করে এমন তো নয়।


বিবার্তা: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


শামসুজ্জামান দুদু: আপনাকেও ধন্যবাদ।


বিবার্তা/এমই/রোমেল/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com