সাক্ষাৎকারে আমিনুল ইসলাম আমিন
আগামী নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকে বেছে নিবে
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৩, ১০:৩২
আগামী নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকে বেছে নিবে
সোহেল আহমদ
প্রিন্ট অ-অ+

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ দেশকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা, শিক্ষিতের হার বাড়ানো, গৃহহীনকে ঘর দেয়া, গ্রামকে শহরে পরিণত করার কমিটমেন্ট করেছিল। আমরা যা কমিটমেন্ট করেছিলাম তা কানায় কানায় পরিপূর্ণ করেছি। আগামী নির্বাচন ডেফিনেটলি চ্যালেঞ্জের। কিন্তু চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে- তার কারণ এই নয় যে বিরোধী দল দুর্বল। বরং আওয়ামী লীগ এ কারণে ক্ষমতায় আসবে, বিশ্ব অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থার মধ্যেও দেশের অর্থনীতিকে যথাযথ সংস্কারের মাধ্যমে সঠিক ধারায় নেতৃত্ব দিতে পারছে এবং অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখতে পারছে।


-কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান আমিনুল ইসলাম আমিন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পান। নির্বাহী সদস্য হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালনের পর দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ পদে দায়িত্ব পান তিনি।


আর ছয় মাস পর অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কতটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এছাড়া সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে সম্প্রতি বিবার্তার সাথে কথা বলেছেন আমিনুল ইসলাম আমিন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিবার্তার নিজস্ব প্রতিবেদক সোহেল আহমদ। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরা হলো-


বিবার্তা: আওয়ামী লীগ নেতারা জনসভায় অংশ নিয়ে বলছেন, সরকারের পতন ঘটাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আপনি কী মনে করেন?


আমিনুল ইসলাম আমিন: আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। এই দলটি সাধারণ মানুষের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করে। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এখনো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ কখনই ষড়যন্ত্র, চক্রান্তের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করেনি। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্তের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে বারবার ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের একই দৃশ্য দেখতে পাবেন। বঙ্গবন্ধু ও হক-ভাষানীর নেতৃত্বের যুক্তফ্রন্ট সরকারকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। তারপর সামরিক শাসন জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসল। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ঊনসত্তরের নির্বাচনে ইতিহাসের স্মরণীয় বিজয় লাভ করেছিল আওয়ামী লীগ। ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭ আসনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছিল। তখনও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি। তারপর ৩০ লাখ শহিদের রক্তাক্ত নদী পেরিয়ে, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেলাম এবং স্বাধীনতা প্রাপ্তির মাত্র ১০ মাসের মধ্যে জাতিকে একটি অসাধারণ সংবিধান উপহার দিলেন। যেটি সারা বিশ্বে এই সংবিধান প্রশংসিত ও স্বীকৃত।


সেই সংবিধানের আলোকে ১৯৭৩ সালে নির্বাচন হলো। সেই নির্বাচন পার হওয়ার আগেই ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবার হত্যা করা হয়। সেখানে দেশি-বিদেশি চক্রান্তের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। এরপর ২১ বছর অত্যাচার নির্যাতন শেষে বঙ্গবন্ধুর মত তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসল। ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা একেবারে সংবিধানিকভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে এবং নির্বাচনে ব্যাপক ম্যানুপুলেশনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা হয়েছিল। কিন্তু কেন? কারণ আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, আওয়ামী লীগের সাথে গণসম্পৃক্ততা আছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় যায় মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করে। আর মানুষের প্রত্যাশা পূরণের ধারক বাহক হিসেবে আওয়ামী লীগকে ধারণ করে।


এক সময় বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতি, বন্যা দুর্ভিক্ষের দেশ ছিল। মানুষের পরনে কাপড় ছিল না, বিদ্যুৎ ছিল না- আজ এসব জাদুঘরে। আজ বিধবারা ভাতা পায়, মুক্তিযোদ্ধারা ভাতা পায়। মসজিদ-মন্দিরে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেয়া হয়। এখন নির্বাচন হলে মানুষ স্বাভাবিকভাবে আওয়ামী লীগকে খুঁজে নিবে বিরোধী দলগুলো ভালোভাবে তা জানে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারানো যাবে না। আর তাই একাত্তরের পরাজিত শক্তির সাথে মিলে নির্বাচন বহির্ভূত কোন উপায়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় আসতে পারে কিনা তারা সেই চেষ্টা করছে। তারা (বিএনপি) জানে আওয়ামী লীগকে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে সরানো যাবে না। আর তাই তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়।


বিবার্তা: বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এই ভিসা নীতিকে কিভাবে দেখছেন?


আমিনুল ইসলাম আমিন: প্রতিটি দেশের একটি ভিসা নীতি থাকে। কোন দেশ কাকে ভিসা দিবে না দিবে সেটি তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি দিয়েছে। এটা নিয়ে আমরা খুব বেশি ভাবছি না। ভিসা নীতিতে তারা যেটি বলেছে, বাংলাদেশে তারা ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন দেখতে চায়। সেখানে যদি কেউ ব্যত্যয় ঘটায় তাহলে তারা ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে চিন্তা করবে।


এ নিয়ে আমরা একটুও উদ্বিগ্ন নই। কারণ আমাদের প্রধানমন্ত্রী বারবার এ কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন আগামী নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার। উনি স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, মানুষ যদি ভোট দেয় আমি ক্ষমতায় থাকব, না দিলে চলে যাব।


২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার নামে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ করেছিল, নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য তারা একটি আসনে তিন-চারজন প্রার্থী করেছিল। মনোনয়ন বাণিজ্য করেছিল। আমি মনে করি, যদি মার্কিন ভিসা নীতি সত্যিকারার্থে নির্বাচনে যারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে তাদের জন্য কার্যকরী করতে চায়- তাহলে যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের উপর বেশি প্রয়োগ হবে।


বিবার্তা: বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড়। সরকার বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সুযোগ নেই। শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে না এলে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে কি-না?


আমিনুল ইসলাম আমিন: আমি মোটেও মনে করি না রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে এমন কোথাও লেখা নেই কয়টি রাজনৈতিক দল অংশ নিলে নির্বাচন বৈধ হবে বা হবে না। আমরা একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে চাই, বিএনপি কেন সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসুক।


বিএনপি গত এক দশক যাবত বিদেশিদের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ধরণা দিচ্ছে। কিন্তু তারা (বিদেশিরা) কেউ বলেনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে তারা চাইতে পারে যে দেশে ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন হোক। আমরা তো ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবন্ধ। তারা চাইলেও অঙ্গীকারবদ্ধ, না চাইলে অঙ্গীকারবদ্ধ। কারণ আমাদের রাজনৈতিক শক্তি হচ্ছে দেশে জনগণ। রাজনৈতিক শক্তিই তো জনগণ, তাই আমরা তো এর বাইরে যাব না।


তত্ত্বাবধয়াক সরকার নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক বিতর্ক আছে। এই ব্যবস্থাকে চরমভাবে বিতর্কিত করেছে বিএনপি। তত্ত্বাবধয়াক সরকার সংবিধানে নেই। এছাড়া বিএনপিও এ দাবির পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে পারেনি। এটা মানার কোনো কারণ নেই। নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধয়াক সরকার মূল বিষয় নয়; মূল বিষয় ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন। শেখ হাসিনার অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি।


বিবার্তা: বিএনপি নেতারা বলছেন, তাদের আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার দমনপীড়ন শুরু করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।


আমিনুল ইসলাম আমিন: তাদের এ দাবি সর্বৈব মিথ্যা, সত্যের অপলাপ। তারা (বিএনপি) যখন বিভাগীয় সমাবেশ করছিল- তখন সেখানে তারা তিনদিন আগে থেকে পিকনিক মুডে ছিল এবং পাটি বিছিয়ে উৎসব করেছে। সরকার যদি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করত, তাহলে তারা এগুলো করতে পারত? আপনার মনে থাকার কথা ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালে তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, সেই পাঁচ বছরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিয়ের বাইরে আমাদেরকে সমাবেশ করতে দেয়নি, মাইকের অনুমতিও দেয়নি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সমাবেশ করতে গেলাম। সেদিন কি ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছিল। এখন এসব কথার বলার আগে আয়নার তাদের নিজেদের মুখ উচিত। তারা কত কুৎসিত, কদাকার এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী ছিল। এটা যদি তারা বুঝতো, তাহলে এ অভিযোগ করত না।


নির্বাচন প্রতিহত করার নামে ভয়ঙ্করভাবে মানুষ হত্যার উৎসব করেছিল। এগুলো তো এলিয়েন করেনি। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা করেছিল। তাদের নামে মামলা হওয়া মানেই রাজনৈতিক পীড়ন নয়। অপরাধীকে গ্রেফতার করা আর রাজনৈতিক পীড়ন এক জিনিস নয়। বিএনপির এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কথা বলা উচিত।


বিবার্তা: বিগত নির্বাচনের আগে জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আওয়ামী লীগ কতটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে বলে মনে করেন?


আমিনুল ইসলাম আমিন: এটা সবচেয়ে ভালো বিচার করতে পারবে জনগণ। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা, শিক্ষিতের হার বাড়ানো, গৃহহীনকে ঘর করে দেয়া, গ্রামকে শহরে পরিণত করার কমিটমেন্ট করেছিলাম। আমরা যা কমিটমেন্ট করেছিলাম সেই কমিটমেন্টের জায়গায় দাঁড়ালে প্রত্যেকটি সেক্টরে তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা যে কমিটমেন্ট করেছিলাম তা কানায় কানায় পরিপূর্ণ করেছি। তবে এক-দুই মাস যাবত বিশ্ব বাস্তবতায় জ্বালানি ও ডলার সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে একটু কষ্ট হচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।



বিবার্তা: চলছে নির্বাচনী বছর। আ.লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দলের জন্য কী কী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন?


আমিনুল ইসলাম আমিন: আমাদের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এখনো পূর্ণাঙ্গ হয়নি। খুব শীঘ্রই আমরা পূর্ণাঙ্গ করব। আমার আগে যিনি ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন তিনি মহামারি করোনার সময়ের অসাধারণ কাজ করেছেন। সেগুলো মানুষের প্রত্যাশাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই দিক থেকে কাজটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জের। অন্যদিকে দলের নেতা-কর্মী, সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারা অনেক বড় দায়িত্ব। শীত মৌসুম গেল। গত রমজানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইফতার পার্টি বাতিল করেছিলেন। আমরা ইফতার পার্টি না করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছি, সমাজহিতৈষীমূলক কর্মকাণ্ড করেছি। ইচ্ছা আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বসে ওনার নির্দেশনা অনুযায়ী এই কাজগুলোকে আরো প্রান্তিক লেভেলে ছড়িয়ে দেয়া।


বিবার্তা: টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে চায় আওয়ামী লীগ। সামনের নির্বাচন আওয়ামী লীগের কাছে কতটা চ্যালেঞ্জের?


আমিনুল ইসলাম আমিন: এটা ডেফিনেটলি একটা চ্যালেঞ্জের। আমাদের দেশের মানুষের হিউম্যান সাইকোলজি অটোমেটিকেলি এন্টি ইনকাম্বেন্সি (ক্ষমতা বিরোধী)। আমাদের জন্য এটা একটা প্রধান চ্যালেঞ্জ। অন্যথায় মানুষ যদি বিবেচনা করে তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল- তারা আমাদেরকে কি দিয়েছে অথবা এর আগে যারা ছিল তারা আমাদেরকে কি দিয়েছে। বিষয়গুলো সামনে আনলে আমাদের চিন্তার কোন কারণ নেই। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশে মানুষ এগুলো খুব একটা ভাবে না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের অনেকে ভালো কথা বলে, যোগ্য ও মেধাবী নেতৃত্বের কথা বলে, কিন্তু ভোটের আগের দিন ৫শ' টাকার শাড়ি দিলে আমরা সকালবেলা ভোটটা দেয়ার সময় চিন্তা করি না যাকে ভোট দিচ্ছি তিনি কতটা যোগ্য। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।


আমরা আশাবাদী, মানুষ নিশ্চয়ই নিজে পায়ে কুড়াল মারবে না। যে দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, প্রতিনিয়ত মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করছে। এই দেশ আগে কোথায় ছিল আর গত তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ দেশটাকে কোথায় নিয়ে গেছে। এসব দেখতে হবে। অর্থনীতি নিয়ে কাজ করে আমেরিকার ব্লুমবার্গ পত্রিকা। তাদের বক্তব্য হচ্ছে চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে তার কারণ এই নয় যে বিরোধী দল দুর্বল বরং আওয়ামী লীগ এ কারণে ক্ষমতায় আসবে যে তারা বিশ্ব অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থার মধ্যেও অর্থনীতিকে যথাযথ সংস্কারের মাধ্যমে সঠিক ধারায় নেতৃত্ব দিতে পারছে এবং অর্থনীতির চাকা গতিশীল রেখেছে।


আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাংকের বক্তব্য হচ্ছে শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি, মানুষের জীবনযাত্রা এত উন্নত হয়েছে যে- মানুষ এই যাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চায়। আমি বিশ্বাস করি, মানুষ আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা মনোনীত প্রার্থীকে বেছে নিবে, আওয়ামী লীগ বেছে নিবে।


বিবার্তা: গুরুত্বপূর্ণ সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


আমিনুল ইসলাম আমিন: আপনাকেও ধন্যবাদ।


বিবার্তা/সোহেল/রোমেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com