
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। এখন পর্যন্ত ৪২৬ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে এগিয়ে আছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন।
এর মধ্যে নৌকা প্রার্থী আজমত উল্লাহ পেয়েছেন এক লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ এবং জায়েদা খাতুন পেয়েছেন এক লাখ ৮৭ হাজার ৭০০ ভোট।
এবারের নির্বাচনে ভোটার ছিল ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ ও পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন রয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোট কেন্দ্রের তিন হাজার ৪৯৭টি কক্ষে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম হয়েছে।
এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভিড় করেন ভোটাররা। নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ছিল না প্রার্থীদের।
সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে ছিল ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। বিশেষ করে নারী ভোটারদের সংখ্যা ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে দুপুরের দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমে যায়।
নগরে এই প্রথম ইভিএমে ভোট হয়। এ প্রযুক্তির সঙ্গে অনেক ভোটারই অপরিচিত। যে কারণে অনেক কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণে ছিল ধীরগতি। বিশেষ করে নারী ও বয়স্করা কিছুটা জটিলতায় পড়েন। তবে তরুণরা স্বাচ্ছন্দ্যেই ভোট দিয়েছেন।
গাজীপুর সিটিতে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের মধ্যে। দুজনের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তাদের মতোই ভোটের পরিবেশ ভালো বলে জানান আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনূর ইসলাম রনি।
গাজীপুর সিটির ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তিন মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান, শাহনূর ইসলাম রনি এবং জায়েদা খাতুন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন গণনা চলছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের ফলাফল প্রিজাইডিং অফিসাররা বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে নিয়ে এলে পরে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]