
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
৪ ফেব্রুয়ারি, শনিবার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
'আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের দমন-নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দাবিতে' ঢাকা বিভাগীয় এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ধীরে ধীরে চলছি। আমরা মানুষের অধিকারকে রক্ষা করবার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি। ঢাকায় ইতিমধ্যে পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে আমরা সকল মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছি। আর একটা লং মার্চের মধ্যে দিয়ে আমরা এদেরকে (আওয়াসী লীগ সরকার) পরাজিত করার মধ্যে দিয়ে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আমাদের এবার কর্মসূচি হবে একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে আবারও আমরা পদযাত্রা শুরু করব, এরপরে উপজেলা, জেলা ও মহানগরে। পরে জনগণ তাদের (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতার মসনদ দখল করে নেবে। তাই গ্যাস-বিদ্যুৎ, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ ও ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। আর ঢাকা মহানগরে পদযাত্রা হবে। পদযাত্রার তারিখ তারা আমাদেরকে জানাবেন। সেই তারিখ অনুযায়ী পরবর্তীতে আমরা সেটা ঘোষণা করব।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার বেলা ১২টা থেকে সমাবেশে অংশ নিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সমাবেশে দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা আসেন দলে দলে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আসেন। তারা রাস্তায় ত্রিফল বিছিয়ে তার উপর বসেন এবং দলের সিনিয়র নেতাদের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের উপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরী করা হয়।
এদিকে ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তুলেন তারা।
এছাড়া নেতাকর্মীদের মাথায় বিভিন্ন রঙের ক্যাপ এবং জাতীয় পতাকা পড়ে সমাবেশে অংশ নিতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে আরো দেখা গেছে, সমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। কার্যালয়ের আশপাশে সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনসমাগম ঘটিয়ে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সার্বিক প্রস্তুতিও নেয়া হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপি নেতা এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমদ আজম খান, আমান উল্লাহ আমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, ড. আসাদুজ্জামান রিপুন, মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, আফরোজা আব্বাস, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিবার্তা/কিরণ/জামাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]