এমভি আবদুল্লাহ পার হচ্ছে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রুট, নিরাপত্তায় ইইউর যুদ্ধজাহাজ
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৭
এমভি আবদুল্লাহ পার হচ্ছে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রুট, নিরাপত্তায় ইইউর যুদ্ধজাহাজ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে দীর্ঘ ৩১ দিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। মুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের পথে রওনা দিয়েছে।


সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করেছে। জাহাজটি বর্তমানে ৮ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলছে বলে জানা গেছে।


এদিকে এখনও জাহাজটি এখনও উচ্চঝুঁকিপূর্ণ নৌ-সীমার মধ্যে থাকায় বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে সেটিকে দুবাইয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। তাদের সঙ্গ দিচ্ছে তিনটি দ্রুতগতির টহল বোট।


সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নেওয়ার ছবি প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।


এছাড়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপও। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জাহাজটি এখনও উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’


তিনি জানিয়েছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জাহাজের রেলিংয়ে কাঁটাতার দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ডেকে উচ্চ চাপের ফায়ার হোস, সিটাডেল, জরুরি ফায়ার পাম্প ও সাউন্ড সিগন্যাল প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া নাবিকদের থাকার জায়গা এবং ইঞ্জিন রুমের দরজা এবং ঢোকার পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ‘জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর নিরাপদ জলসীমায় আনার আগ পর্যন্ত পাহারা দিচ্ছে দুটি যুদ্ধজাহাজ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর সদস্যরা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। খোঁজখবর নিয়েছেন।’


জানা গেছে, অপারেশন আটলান্টার আওতায় সোমালিয়া উপকূল, এডেন, আকাবা, সুয়েজ, লোহিত সাগর ও আশপাশের এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। মূলত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির জাহাজ নিরাপত্তা দেওয়া এবং দস্যুতাবিরোধী কার্যক্রম তদারকিই তাদের মূল উদ্দেশ্য।


সূত্র জানায়, জাহাজের সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা হিসেবে সিটাডেল প্রস্তুত করা হয়। এর মোটা স্টিলের পাত ভেদ করে ঢোকা প্রায় অসম্ভব। এর ভেতরে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারেন নাবিকরা।


আগামী ২০ এপ্রিল জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছে কেএসআরএম গ্রুপ।


প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি আরব আমিরাতে যাচ্ছিল। ৩১ দিন জিম্মি থাকার পর শনিবার বিকেলে ২৩ নাবিকসহ মুক্ত হয় এমভি আবদুল্লাহ।


মুক্ত হওয়ার পর থেকেই কাছাকাছি থাকা ইইউ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দুবাইয়ের দিকে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com