এমভি অভিযান-১০ নামে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লঞ্চের মালিক, চালকসহ আটজনকে আসামি করে আরো একটি মামলা করেছেন মনির হোসেন নামে নিহতের এক স্বজন। ফলে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৪টি মামলা হলো। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে ঝালকাঠি থানায় মামলাটি করেন তিনি। মনির হোসেন ডেমরা এলাকার বাসিন্দা
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, মনির হোসেন বাদী হয়ে অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ, লঞ্চে থাকা দুই মাস্টার রিয়াজ সিকদার ও খলিল, দুই ড্রাইভার মাসুম ও কালাম, সুপারভাইজার আনোয়ার, সুকানী আহসান ও কেরানি কামরুলকে আসামি করে মামলা করেন।
এই কর্মকর্তা বলেন, এর আগে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছিলো। যেহেতু এখন মূল মামলা দায়ের হয়েছে তাই অপমৃত্যু মামলার কার্যক্রম এখন আর এই ঘটনায় চলমান থাকবে না।
এজাহারে বলা হয়েছে, লঞ্চের ইঞ্জিনে যখন ত্রুটি দেখা দেয়, তখনও লঞ্চের স্টাফরা যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া তুলতে থাকেন। লঞ্চটির নিচতলার পেছনের অংশে থাকা ইঞ্জিন রুমে যখন আগুন ধরে যায় তখন চালক ও স্টাফরা যাত্রীদের বাঁচাতে লঞ্চ তীরে ভেড়ানো বা নোঙর করার চেষ্টাটুকুও করেননি। বরং নিজেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে পালিয়েছেন।
মনির হোসেন জানিয়েছেন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এত প্রাণহানি হয়েছে। এতে তার বোন তাসলিমা আক্তার, দুই ভাগনি সুমাইয়া আক্তার মীম ও সুমনা আক্তার তানিশা এবং ভাতিজা জোনায়েদ ইসলাম বায়জিদ নিখোঁজ আছেন।
এর আগে ২৫ ডিসেম্বর লঞ্চ দুর্ঘটনায় ঝালকাঠি সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেন। এছাড়া নৌ আদালতে একটি ও বরগুনায় আরো একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বিবার্তা/আশিক
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]