শিরোনাম
হলমার্ক কেলেঙ্কারি: সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাসহ ১১ ​জনের সাজা
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:১৫
হলমার্ক কেলেঙ্কারি: সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাসহ ১১ ​জনের সাজা
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংকের সাবেক আট শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১১ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ­ণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।


সোনালী ব্যাংকের আট কর্মকর্তাকে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গে দণ্ডিত করা হয়েছে। এরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও হুমায়ন কবীর (পলাতক), ডিএমডি মাইনুল হক, জিমএম মীর মহিদুর রহমান ও ননী গোপাল নাথ (পলাতক), ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন, মো. সফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজিএম সাইফুল হাসান (পলাতক) ও কামরুল হোসেন খান। এদের প্রত্যেকের ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড­ দেওয়া হয়েছে।


এ ছাড়া অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণায় সহযোগিতার অভিযোগে ডিএন স্পোর্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন চৌধুরী, তার মেয়ে পরিচালক ফাহমিদা আক্তার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সফিকুর রহমানকে (পলাতক) ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ কোটি ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪ টাকা অর্থদণ্ড­, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ­ণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অপর এক ধারায় এই তিন আসামির প্রত্যেককে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড­ ও এক লাখ টাকা অর্থদ­ণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদ­ণ্ড দেওয়া হয়েছে।


হলমার্ক কেলেঙ্কারির সময় সোনালী ব্যাংক থেকে অর্থ লোপাটের ঘটনায় মোট ৩৮টি মামলা করা হয়। এরমধ্যে ডিএন স্পোর্টস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে করা মামলাটির আজ (রোববার) রায় হয়েছে। এ নিয়ে হলমার্ক কেলেঙ্কারি ঘটনায় দায়ের হওয়া ৩৮ মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত দুটি মামলার রায় হলো। বাকি ৩৩টি মামলা বিভিন্ন আদালতে এখনো বিচারাধীন রয়েছে।


সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা থেকে ডিএন স্পোর্টস লিমিটেডের নামে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে- তা আত্মসাৎ করা হয়। ২০১১ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের ২৭ মে সময়ের মধ্যে এই অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সেলিনা আক্তার মনি বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করেন।


২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি ১৬ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়। ২০১৪ সালের ২২ মে তদন্ত শেষে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়। চার্জশিটে এক কোটি ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। ২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর আদালত ওই ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com