
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার ২ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ ৭ (অক্টোবর)। দখলদার বাহিনীর অভিযানে গত দুই বছরে উপত্যকাটিতে প্রাণ হারিয়েছে ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া ত্রাণের অভাবে ভয়াবহ ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন গাজার বাসিন্দারা।
যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নানা সময়ে আলোচনা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এদিকে গাজা যুদ্ধের দুই বছরের মাথায় গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস ও মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার আলোচনা ‘ইতিবাচক’ পরিবেশে শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুই বছর আগে এই দিনে ভোরবেলায় ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে এসেছিল হামাসের যোদ্ধারা।
হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে সেদিন থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ, যা এখনও চলছে। ২ বছর ধরে চলমান এই ভয়াবহ অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৬৭ হাজার ১৬০ জন ফিলিস্তিন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৯ জন।
চাথাম হাউসের রাজনৈতিক বিশ্লেষক সানাম ভাকিল বলেন, ‘২ বছর ধরে গাজায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে আসছে ইসরায়েল। যদিও তারা সেখানে কী অর্জন করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে ইরান-সমর্থিত প্রতিরোধ নেটওয়ার্কের সক্ষমতাও কমেছে। অন্যদিকে কয়েক দশকের তুলনায় এবার আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিকভাবে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তেল আবিব।’
গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল, অনেকদিন ধরেই এ অভিযোগ করে আসছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। গেল ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনেও তার প্রমাণ মেলে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সানাম ভাকিল বলেন, ‘গাজায় গণহত্যার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করেছে ইসারয়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী– আইডিএফ। সেখানে এমন পরিকল্পিত জীবনধারা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা তাদের অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে ফেলেছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর জাতিগত নিধনের পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল।’
আইডিএফের ক্রমাগত হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার। ফিলিস্তিনকে সমর্থন করায় ইরান, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন এবং কাতারেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]