শিরোনাম
কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ড: এ টু জেড
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:০৮
কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ড: এ টু জেড
আন্তর্জতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাসেম মোলাইমানিকে হত্যার পর তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরিহয়েছে।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ইরাকের রাজধানী বাগদাদে নৃশংসভাবে রকেট হামলা চালিয়ে ইরানের আল-কুদস ফোর্সের প্রধান ও বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকের মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল মুহানদিসকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী।


এর আগে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঠিকাদারকে হত্যা করে ইরান-সমর্থিত কাতায়েব হিজবুল্লাহ। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে ২৯ ডিসেম্বর হিজবুল্লাহ মিলিশিয়াদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ২৫ ইরাকি নাগরিককে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী।


এরপর মার্কিন হামলার নিন্দা জানাতে কয়েক হাজার ইরাকি জনগণও মিলিশিয়া যোদ্ধা জড়ো হন বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের সামনে। এসময় তারা ‘নো ট্রাম্প, নো আমেরিকা’ বলে স্লোগান দেন। এক পার্যায়ে মার্কিন দূতাবাস ভাঙচুর করে তারা। এরপর কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী।


কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল কাসেম সুলাইমানিকে যারা হত্যা করেছে, সেই অপরাধীদের জন্য ভয়াবহ প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।


লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ বলেছেন, বিশ্বজুড়ে সব প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে জেনারেল কাসেম সুলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেয়া।


তবে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরাকে যুদ্ধ থামাতে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে।


তবে মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির বিরোধী দলীয় সদস্য ক্রিস মারফির বলেছেন, সোলাইমানিকে হত্যা করায় ব্যাপক আঞ্চলিক যুদ্ধ লেগে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অসম হামলা চালিয়ে প্রতিশোধ নিতে পারে তেহরান।


সোলাইমানিকে হত্যা ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ ঘোষণা বলে মত দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিলারি ম্যান লেভারেট।


তিনি বলেন, আমেরিকানদের পুরো অঞ্চলজুড়ে সতর্ক হওয়া উচিত। আমরা এখন এক অবিশ্বাস্য ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। এটা অবশ্যই এক ভয়াবহ পরিস্থিতি যার মধ্য দিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি। সোলাইমানি নিহত হওয়া মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে হত্যার সমতুল্য।


এরপর শনিবার (৪ জানুয়ারি) ইরাকি জনগণের অনুরোধে ইরাকের কূটনৈতিক এলাকা গ্রীণ জোনে সোলাইমানির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে লাখ লাখ মানুষ জেনারেল সোলাইমানির জানাযায় অংশ নেন। এরপর কারবালায় নিয়ে যাওয়া হয় সোলাইমানির মরদেহ। সেখানেও লাখ লাখ মানুষ জানাযায় অংশ নেন। জানাযা শেষে শনিবার রাতেই তার মরদেহ তেহরানের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।



রবিবার (৫ জানুয়ারি) ভোররাতে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় আহওয়াজ বিমানবন্দরে জেনারেল কাশেম সোলাইমানির লাশ পৌঁছায়। এ সময় আহওয়াজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইরানের শীর্ষস্থানীয় শত শত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।


সোলাইমানির মরদেহ দেশে পৌঁছার পর খুজিস্তান প্রদেশের প্রধান শহর আহওয়াজে জনতার ঢল নামে। গোটা শহর পরিণত হয় এক জনসমুদ্রে।জেনারেল সোলাইমানিকে বহনকারী গাড়ীতে একবার হাত বুলিয়ে দিতে পারাকে পরম সৌভাগ্য বলে মনে করছেন অনেকে। এ কারণে গাড়ির সামনে পেছনে শুধুই মানুষ।


কেউ কেউ গাড়িতে কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের কাছে এক ধরণের কালো কাপড় ছুঁড়ে দিচ্ছেন। এরপর তা কফিনে ছোঁয়ানোর পর আবারও ফিরিয়ে দিচ্ছেন তারা। জনতা সেই কাপড় ছিঁড়ে ভাগ করে নিচ্ছেন। বীরের কফিনের ছোঁয়া পাওয়া কাপড়ের টুকরো সযত্মে আজীবন রক্ষা করবেন তার স্মৃতি হিসেবে।



রবিবার (৫ জানুয়ারি) মাশহাদে ইমাম রেজা (আ.)’র মাজারে নিয়ে যাওয়া হবে জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মরদেহ। সেখানে কিছু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী নিজে জানাজা পড়াবেন।


এর পর মঙ্গলবার কাসেম সোলাইমানিকে তার নিজ প্রদেশ কেরমানে দাফন করা হবে। নিজের কবরস্থান কোথায় হবে তা আগেই বলে গেছেন তিনি।


জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়াপর পর তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।


এসময় সোলাইমানির স্ত্রী ও সন্তানদের উদ্দেশে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেন, জেনারেল সোলাইমানি আল্লাহর পথে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো কিছুকেই পরোয়া করতেন না। এ পর্যন্ত বহু বার এমন অবস্থার মুখে পড়েছেন যে তখনো তিনি শহীদ হয়ে যেতে পারতেন।


সোলাইমানির মৃত্যুকে মর্যাদাপূর্ণ শাহাদাত আখ্যায়িত করে খামেনি বলেন, আল্লাহ তাকে অনেক মর্যাদাপূর্ণ শাদাহাত দান করেছেন। এটি আল্লাহর বড় নেয়ামত। তিনি এই নেয়ামতের যোগ্য ছিলেন।



এসময় শোকাহত পরিবারকে শান্তনা দিয়ে কুদস ফোর্সের নবনিযুক্ত প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কায়ানি বলেন, সামান্য ধৈর্য ধরুণ। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিনিদের কবর রচিত হবে।


তিনি বলেন, কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মার্কিনিদের লাশ দেখতে আমাদের আর কিছুসময় ধৈর্য ধরতে হবে।


কে এই কাসেম সোলাইমানি?


বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত সমরবিদ ছিলেন কাসেম সোলাইমানি। নিজ দেশে ভক্তদের কাছে যার পরিচিতি হাজি কাসেম নামে। শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, পুরো সমরজগতের বিশেষ মনোযোগে ছিলো কাসেম সোলাইমানির ওপর।


আইআরজিসি নামে পরিচিত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের একজন কমান্ডার ছিলেন সোলাইমানি। তবে অলিখিতভাবে তার পদমর্যাদা দেশটির যেকোনো সামরিক কর্মকর্তার ওপরে ছিলো।


রেভল্যুশনারি গার্ডের ‘কুদস্ ফোর্স’ তার নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হতো । ২১-২২ বছর হলো বাহিনীটি গড়ে তুলছেন তিনি। অপ্রচলিত যুদ্ধের জন্য তৈরি একটা বৃহৎ ‘স্পেশাল অপারেশান ইউনিট’ বলা যায় একে; যার প্রধান কর্মক্ষেত্র ইরানের বাইরে।


দেশটির বৈশ্বিক উত্থানে বর্শার ফলকে পরিণত হয়েছেন কুদস ফোর্সের সদস্যরা, যাদের ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যে ইতিমধ্যে সামরিক ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলেছেন হাজি কাসেম। যে তৎপরতার তাপ লাগছে পৃথিবীর অন্যত্রও; বিশেষ করে অর্থনীতিতে।


বিশাল এক আন্তর্দেশীয় ছদ্মযুদ্ধ


‘কুদস’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র’। বোঝা যায়, সোলাইমানির এই বাহিনীর অগ্রযাত্রায় ধর্মীয় প্রণোদনা আছে। সোলাইমানি তার বাহিনীর পুরো কাজকর্মের জন্য জবাবদিহি করেন শুধু আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে। তাই ইরানিরাও ‘কুদস্ ফোর্স’-এর সংখ্যা ও সামর্থ্য নিয়ে সামান্যই ওয়াকিবহাল ।


এই ‘ফোর্স’-এর সঙ্গে কাজ করছে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসলামিক জিহাদ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ‘ফাতেমিয়ুন’ আর ‘জাইনাবিয়ুন’ নামের মিলিশিয়া গ্রুপ এবং ইয়েমেনের হুতিরা । এর বাইরে সিরিয়া-ইরাকে শিয়াদের অনেক প্রশিক্ষিত বাহিনী রয়েছে ‘কুদস ফোর্স’-এর অধীনে। রীতিমতো আন্তমহাদেশীয় চরিত্রের যোদ্ধাদল এটি। সঠিক আকার ও সদস্যসংখ্যা আঁচ করা প্রকৃতই কঠিন।


ইরান এদের বলছে ‘প্রতিরোধের অক্ষশক্তি’। অন্তত ১৫-২০টি দেশে সরাসরি কিংবা সীমিত পরিসরের ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের স্বার্থের বিপরীতে ছদ্মযুদ্ধে লিপ্ত এরা। সমরবিদ্যায় এ রকম যুদ্ধকে বলে ‘বড়যুদ্ধের মধ্যবর্তী ছোট ছোট অভিযান’। সৌদি আরব তার তেলক্ষেত্রে অজ্ঞাত উৎস থেকে পরিচালিত এ রকম এক অভিযান দেখেছে গত ১৪ সেপ্টেম্বর, যা বিশ্ব অর্থনীতিকেও খানিকটা ঝাঁকুনি দিয়েছে। বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের অন্তত ৫ ভাগ তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


ইসরাইলের জন্য বিপুল বিরক্তির কারণ ছিলেন সোলাইমানি


গত বছরের মার্চে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি জেনারেল সোলাইমানিকে ‘অর্ডার অব জুলফিকার’ পদক দিয়েছেন। বিপ্লব-উত্তর ইরানে এ খেতাব তিনিই প্রথম পেয়েছিলেন। সরকারিভাবে এ অনুষ্ঠানের যে সংবাদ প্রচারিত হয়, তার ছবিতে দেখা যাচ্ছিল সোলাইমানির ঘাড়ে চুম্বন করছেন খামেনি। শিয়া সংস্কৃতিতে এ রকম ছবির প্রতীকী তাৎপর্য বিপুল।


ইরান, ইরানের বন্ধু এবং দেশটির শত্রু সবাই এটা এখন বিশ্বাস করে, মূলত সোলাইমানির কারণেই দেশটির সামরিক প্রভাবের পরিসর বাড়ছে। ইরাকে তাদের সামরিক উপস্থিতি বিপুল। ফলে তারা এখন সৌদি সীমান্তের কাছাকাছি আছে। সৌদদের সঙ্গে বিশ্বজুড়ে ইরানের যে ছদ্মযুদ্ধ চলছে, তার প্রধান স্থপতি এই জেনারেল। আবার ইরাকে আইএস যে সাময়িকভাবে হলেও পরাস্ত, এককভাবে তার বড় কৃতিত্ব সোলাইমানিকেই দিতে হবে।


আসাদকে রক্ষার কৃতিত্বও তার। বিরোধী দলের সঙ্গে আসাদের সংঘাতকে সোলাইমানি ইরান বনাম ইসরাইলের সংঘাতে পরিণত করে নিয়েছেন। কুদস ফোর্স মাঝেমধ্যেই উত্তর ইসরাইলে মিসাইল ছুড়ে দেশটির বোমাবর্ষণের জবাব দিচ্ছে। তেল আবিব জানে, তাদের জন্য এ রকম বিরক্তি আরো বাড়বে।


সিরিয়া নিয়ে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেওয়ার পাশাপাশি লেবাননে হিজবুল্লাহরও প্রধান অভিভাবক ছিলেন কাসেম সোলাইমানি। ইসরাইলের পুনঃ পুনঃ বোমাবর্ষণ সত্ত্বেও হিজবুল্লাহ অতীতের চেয়ে অনেক শক্তিশালী এখন। পুরোপুরি ইরানের হয়ে কাজ করছে তারা। এ ধরনের মৈত্রীকে শুধু শিয়াবাদ দিয়ে বোঝা যাবে না।


আফগানিস্তানের ক্ষেত্রেও অতীতের শত্রুতার সম্পর্ক সম্পূর্ণ পাল্টে নিতে পেরেছিলেন সোলাইমানি। কুদস ফোর্সকে তালেবানদের অন্যতম মিত্র মনে করা হয়, যা কূটনীতিবিদের কাছে গভীর এক বিস্ময় তৈরি করেছে ।


ব্যক্তি জীবনে সোলাইমানি


ব্যক্তি জীবনে কাসেম সোলাইমানি দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। সামনাসামনি দেখলে এ ধরনের বিপজ্জনক চিন্তার মানুষটির যে বড় বৈশিষ্ট্যটি চমকে দিতো তা হলো, অতি সাদাসিধা জীবনযাপন। তারকা জেনারেলদের শরীরী ভাষায় যে ঔদ্ধত্য থাকে, কাসেম সোলাইমানি একদম তার বিপরীত ছিলেন। কেবল এ কারণেই, শিয়া মিথে ভরপুর ইরানের সমাজে অনেকে তার মাঝে দেখেন হজরত আলীর (রা.) বিশ্বাসী সহযোদ্ধা মালিক আল-আশতারের ছায়া। সরাসরি রণাঙ্গনে ঘুরতে পছন্দ করতেন এই জেনারেল। সামরিক পোশাকে নয়, সাধারণ একটা জ্যাকেট পরা অবস্থায় দেখা যেত তাকে ।


খামেনি ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের সঙ্গেও তার মেলামেশা কম ছিলো। ২০১৭ সালে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করতে অস্বীকার করেন। ইরানের অন্যান্য প্রধান নীতিনির্ধারকের মতো ধর্মীয় শিক্ষায়ও তিনি উচ্চশিক্ষিত নন। কথিত আছে, জেনারেল সোলাইমানির সামরিক প্রশিক্ষণের মেয়াদও ছিল মাত্র ছয় সপ্তাহ। মূলত ‘জাতীয় স্বার্থে’ ভূকৌশলগত সামরিক চিন্তার দক্ষতাই তাকে এ মুহূর্তে জাতীয় এক বীরে পরিণত করেছে ।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com