শিরোনাম
স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে সংসদে কঠোর সমালোচনা
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২১, ২০:২২
স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে সংসদে কঠোর সমালোচনা
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে সংসদে কঠোর সমালোচনা হয়েছে। সোমবার (১৪ জুন) সংসদ অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ক্ষমতাসীন জোটের সংসদ সদস্যরা করোনা সংক্রমণকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।


ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন স্বাস্থ্য খাতের সমালোচনা করে বলেন, মানুষের জীবন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, আমলাতান্ত্রিক খবরদারিত্বে বাস্তবে রূপ নিতে পারেনি। করোনা রোধে স্বাস্থ্য খাত বিশেষজ্ঞদের পরিবর্তে আমলাতান্ত্রিক নির্দেশে পরিচালিত হওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। চোখের সামনে দেখেছি মাস্ক, পিপিই, করোনা টেস্ট নিয়ে জাল-জালিয়াতি। একজন শাহেদ, একজন সাবরিনা গ্রেপ্তার হয়েছে, কিন্তু যারা সচিত্র চুক্তি স্বাক্ষর করল, কাজ দিল, তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রথমেই টিকা সংগ্রহ করে সফলভাবে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে টিকা সরবরাহের পরিণতি দেখছি। টিকা নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছি। আগামী মাসগুলোতে টিকা যে আসবে তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। দেশের ১২ কোটি মানুষের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে না পারলে করোনা সংক্রমণ রোধ হবে না। এই টিকা সরকারকেই সংগ্রহ করতে হবে। দেশে টিকা উৎপাদনের যে সক্ষমতা আছে তাকে কাজে লাগাতে হবে।


তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও শেখ হাসিনার সরকার একটি প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গড়তে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছেন। আমাদের উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়তে অবশ্যই প্রযুক্তির পথ ধরে এগিয়ে যেতে হবে। প্রযুক্তিকে এগিয়ে যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক যুগ ধরে জাতিকে সে পথে সাফল্যের সঙ্গে পরিচালিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। গত এক যুগে দেশে প্রযুক্তি খাতের অর্জনগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে সংসদে তুলে ধরেন তিনি।


স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি তুলে শাজাহান খান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে জনবল বৃদ্ধি জরুরি হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য খাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হচ্ছে না। আড়াই শ শয্যার হাসপাতাল হয়েছে, কিন্তু জনবল নেই। যার কারণে মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না। এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।


জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে ডিজাস্টার ঘটে গেছে। যারা সেকেন্ড ডোজ পাচ্ছেন না তাদের কী হবে? সরকারকে তাদের ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভ্যাকসিন নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনা হয়নি। একক সিদ্ধান্তে কেনার কারণে বাংলাদেশ আজ ট্র্যাপে পড়ে গেছে।


সরকারি দলের উম্মে কুলসুম বলেন, স্বাস্থ্য খাতের বিষয়ে আমরা অনেক কথা শুনছি। আগামীতে যেন স্বাস্থ্য খাতে দুর্বৃত্তায়ন আসতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com